জলপাইগুড়ি: পরিযায়ী পাখির (migratory birds) যে কলরব শোনার প্রতীক্ষায় বছরভর অপেক্ষা, সেই শীতকাল (winter) এসেছে৷ বাতাস এখন হিমশীতল, ঘাসে ঘাসে শিশিরের বিন্দু আর দিগন্ত কুয়াশামাখা৷
জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) শহর ও আশেপাশের এলাকা পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে৷ রুডি সেল ডাক, নদার্ন পিনটেল, মারগেঞ্জা, টাপটেও ডাক প্রজাতির পাখিরা (birds) বহুদূরের পথ অতিক্রম করে উড়ে এসেছে৷ ওরা কেউ এসেছে লাদাখ থেকে, কেউ এসেছে ইউরোপ (Europe) থেকে, অনেকের আগমন তরাইয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে এমনকি ইউরোপ কিংবা সাইবেরিয়া থেকে এসেছে ওরা৷
আরও পড়ুন: Hunger Strike: বালিগঞ্জে অসুস্থ অনশনকারী চাকরিপ্রার্থী, দুদিন ধরে চলছে অবস্থান
ভোর হলেই পাখির ডাকে মুখরিত হয়ে উঠছে বিস্তীর্ণ এলাকা৷ যেন গানের মতো! আর জলপাইগুড়ির মানুষের কাছে এ এক উপরি পাওনা, সেও বলাবাহুল্য৷ জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের খড়িয়ার অন্তর্গত ভাটাখানা শোভাবাড়ি এলাকা ছাড়াও জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি যাওয়ার পথে মূল সড়কের পাশের জলাশয়গুলিতে হরেক রকমের পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে৷
তবে দিনে দিনে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা আগের তুলনায় কমছে৷ পক্ষী বিশারদরা জানিয়েছেন, পরিযায়ী পাখিদের প্রজনন ভূমি, জলাশয় ও খাদ্যের সমস্যা থাকায় ওদের আগমন কমেছে৷ জলপাইগুড়ির সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা বাড়াতে পরিবেশের উন্নয়নই অন্যতম পথ। তবে এখনও ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের পরিযায়ী পাখির (migratory bird) দেখা মিলছে শহরের জলাশয়গুলিতে৷
স্থানীয় বাসিন্দা ভগবতী অধিকারী বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে আমরা শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের দেখা পাচ্ছি৷ ওঁদের দেখে মন ভালো হয়ে যায়৷ অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা নির্মলা সরকার বলেন, দূরদূরান্ত থেকে যে পাখিরা (birds) আসে তাঁদের কলতান শুনে খুব ভালো লাগে৷ তবে এ বছর পরিযায়ী পাখির সংখ্যা তুলনায় অনেকটা কমেছে৷