মুম্বই: ‘রামচন্দ্র মাংসাশী ছিলেন। শিকার করে খেতেন।’ রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বিতর্কিত মন্তব্য শরদ পাওয়ারপন্থী এনসিপি বিধায়কের। আর তা নিয়ে ফের কাদাজল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলের ওই বিধায়ক রামকে বহুজন অর্থাৎ পরোক্ষে শূদ্র সমাজের রাজা বলেও মন্তব্য করায় আঁতে ঘা লেগেছে উচ্চকোটির রামভক্তদের মনে।
শিরডিতে আয়োজিত দলের একটি শিক্ষাশিবিরে কর্মীদের সামনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিরোধী শিবিরের এনসিপি বিধায়ক জিতেন্দ্র অওয়ধ। সেখানে তিনি বলেন, আমরা ইতিহাস পড়ি না এবং রাজনীতি করতে গিয়ে সবকিছু ভুলে যাই।
আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল ইডি
রাম হলেন আমাদের, আমরা অর্থাৎ বহুজনের রাজা। মানুষ উদরপূর্তির জন্য শিকার শিখেছিল। শিকার করেই খাদ্য সংগ্রহ করা রীতি। সেই হিসাবে রাম কখনই নিরামিষাশী হতে পারেন না। নিরামিষাশী ছিলেন না। তিনি আমিষাশী ছিলেন। কারণ, ১৪ বছর বনে-জঙ্গলে বাস করা কোনও মানুষ নিরামিষভোজী হয়ে থাকতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, জিতেন্দ্রর এই মন্তব্য এমন দিনে করা হয়েছে, যেদিনই রাজ্য বিজেপি সরকারের কাছে এক অদ্ভুত আবদার বা দাবি জানিয়েছে। শাসক জোটের শরিক বিজেপির বিধায়ক রাম কদম মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, আগামী ২২ জানুয়ারি, রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন রাজ্যে মদ্যপান ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হোক। এমনকী ওইদিনে রাজ্যে কোথাও আমিষ খাবার, মাছ-মাংস বিক্রি করাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করুক রাজ্য সরকার।
স্বাভাবিকভাবেই এনসিপি বিধায়কের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। রাম কদম বলেছেন, রাম আমিষভোজী ছিলেন, এর কী প্রমাণ আছে অওয়ধের কাছে? উনি কি দেখতে গিয়েছিলেন? যখন মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে, তখন উনি কোটি কোটি ভক্তের আবেগকে অপমান করছেন। বালাসাহেব ঠাকরে আজ বেঁচে থাকলে উনি এরকম কথা বলতে পারতেন? আসলে শিবসেনাও এখন বরফের মতো জমে গিয়েছে। ভোট এলে তবেই হিন্দুত্ব নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে গলে পড়ে।
জবাবে অওয়ধ ফের বলেন, তিনি বিতর্কিত কিছু বলেননি। যা সত্য তাই বলেছেন। রামকে নিরামিষাশী বলে পরিকল্পিত একটি প্রচার চলে আসছে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ আমিষ খান। এবং তাঁরা সকলেই ভগবান রামের ভক্ত।
অন্য় খবর দেখুন