উজ্জয়িনী: ‘ধর্ষিতা’ নাবালিকা (Minor Girl) প্রায় ৮ কিমি হেঁটে দরজায় দরজায় সাহায্য প্রার্থনা করেছে। কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় তার ঘুরে বেড়ানোর ছবি সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উজ্জয়িনীতে (Ujjain) ১২ বছরের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এক অটো চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃত অটো চালকের নাম রাকেশ। বয়স ৩৮ বছর। পথ-ক্যামেরার ছবিতে দেখা গিয়েছে, মেয়েটি হেঁটে হেঁটে সাহায্য চাইছে। কিন্তু, হাত বাড়িয়ে দেয়নি।
অবশেষে স্থানীয় এক পুরোহিত এগিয়ে আসেন। রাহুল শর্মা নামে ওই পুরোহিত বলেন, ওকে যখন প্রথম দেখি, তখন খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল সে। শহর থেকে ১৫ কিমি দূরে বদনগর রোডে একটি আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত রাহুল। মেয়েটি যখন ধর্ষণের পর সাহায্যের জন্য ঘুরছিল, তখন অন্যরা তাকে আরও হেনস্তা করছিল, বলেন রাহুল। মেয়েটি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। দুচোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছিল।
আরও পড়ুন: শিবরাজ্যে রাস্তায় পড়ে ‘ধর্ষিতা’ নাবালিকা
রাহুল আরও জানান, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি আশ্রম থেকে বেরিয়েছিলেন একটা কাজে। তখনই গেটের কাছে ওই অবস্থায় মেয়েটিকে দেখতে পান। রাহুল তখন ১০০ ডায়াল করেন। কিন্তু সেখান থেকে জবাব মেলেনি। তখন তিনি মহাকাল থানায় খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্যামেরাতেই দেখা গিয়েছে, মেয়েটি জীবন খেরি এলাকা থেকে একটি অটোয় ওঠে। পরে ওই অটোতেই রক্তের দাগও মিলেছে। অটোটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আটক করা তিনজনের মধ্যেও একজন অটো চালক। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া নাবালিকাটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। মৃত্যুর আশঙ্কা না থাকলেও আপাতত সে বিপন্মুক্ত রয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে নাবালিকাকে রক্তাক্ত ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় হেঁটে যাওয়ার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। এরপরেই বিশাল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শিবরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র অপরাধের তদন্তে একটি সিট গঠন করা হয়েছে।