কাবুল: তালিবানের কাবুল দখলের স্মৃতি এখনও দগদগে৷ প্রাণ বাঁচাতে রানওয়ে ছাড়ার আগে চলন্ত বিমানের পিছনে কীভাবে ছুটেছিল হাজার হাজার মানুষ৷ কাঁটাকার পেরিয়ে কোলের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল মা’কে! সেই ছবি চোখের সামনে ভাসতেই চোখ থেকে নোনাজল টুপিয়ে পড়ে৷ কিন্তু আজকের দিনে খুশির খবর৷ যে দু’মাসের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, আজ সে পরিবারের সঙ্গে৷ আরও কয়েক মাস বয়স বেড়েছে সোহাইল আহমাদির৷ এখন বাবা-মা-দাদুর কোলে খেলছে সে৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এমনটাই জানিয়েছে রবিবার৷
গত অগস্টে সোহাইল আহমাদিকে আমেরিকান সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল৷ যে সময় হাজার হাজার মানুষ তালিবানদের থেকে প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল৷ সে সময়ই কাবুল বিমানবন্দের কাঁটাতার পেরিয়ে আমেরিকান সেনার হাতে তুলে দেওয়া সোহাইলকে৷ কিন্তু অজানা ঠিকানা থেকে ফের মায়ের কোলে ফিরল সে৷ এখন তাকে ঘিরেই পরিবার আনন্দে আত্মহারা৷ তবে, তাকে খুঁজে পেতে পাগলের মতো আচারণ করেছিল তার পরিবার৷ সেই খবর সংবাদপত্রে পড়েছিল বছর ২৯ ট্যাক্সি চালক হামিদ সফি৷
তিনি জানান, শিশুটিকে বিমানবন্দরের মাঠে ছিল৷ সে তখন চিৎকার করে কাঁদছিল৷ তারপাশে কেউ নেই৷ তখন সিদ্ধান্ত নেন শিশুটিকে তিনি ঘরে নিয়ে যাবেন৷ নিজের সন্তান স্নেহ বড় করবেন৷ মাস দুয়েকের সোহাইলকে সফি বাড়িতে নিয়ে যান৷ এবং নাম রাখেন মহম্মদ আবেদ৷ তার ছবি সফি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন ঘটনার বিবরণসহ৷
আরও পড়ুন- তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় গ্রেফতার অধ্যাপক
তারপরই সোহাইলের পরিবারের তথ্য নিশ্চিত হন সফি৷ জানতে পারেন, সোহাইলের দাদু কাসেম রাজাওয়াই বাদাকাসন এলাকায় বসবাস করেন। যিনি নাতিকে খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যদিও তারপর সফি বাচ্চাটিকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে নিমরাজি হন৷ পরে পুলিস দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করে দেয়৷ গতকাল শনিবার সোহাইলকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন সফি৷ তারপরই দুই পরিবারে উৎসব শুরু৷