মুম্বই: তোলাবাজির মামলায় তাঁকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই নোটিসের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হাজিরা দেননি তিনি৷ এ রকম পরিস্থিতিতে ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল৷ তাও আবার জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা৷ তিনি প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ৷ কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে৷
কয়েকদিন আগেই তোলাবাজির মামলায় প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে হাজিরার নোটিস দেয় মুম্বই ক্রাইম বাঞ্চ। তাঁর বাড়ির বাইরে ক্রাইম বাঞ্চের আধিকারিকরা নোটিস সাটিয়ে দেয়। ওই নোটিসে মেট্রোপলিটন সিটি পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংহকে ১২ অক্টোবররের মধ্যে হাজিরার কথা বলা হয়েছিল৷ প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংহের বিরুদ্ধে চার চারটি তোলাবাজির মামলা রয়েছে৷
গত ২১ অগস্ট আরও একবার প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলা নিয়ে মেট্রোপলিটন সিটি পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে চতুর্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আর সেদিনের তোলাবাজির মামলাটি মুম্বইয়ে দ্বিতীয় মামলা।
এর আগে তোলাবাজির মামলায় গত ১৩ অগস্ট প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি হয়। মুম্বই শহরতলীর গোরেগাঁও থানাতে এক ব্যবসায়ী পরম বীর সিংয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। সেই এফআইআর-য়ে পরমবীর সিং, শচীন ওয়াজে, সুমিত সিং ওরফে চিন্টু, অল্পেশ পাটেল, বিজয় সিং ওরফে বাবলু এবং রিয়াজ ভাটি নাম ছিল। ব্যবসার অভিযোগ, প্রত্যেকেই বহো রেস্ট এবং বিসিবি বার রেজিস্ট্রেশনের নাম করে প্রায় ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- তালিবানকে গৌরবান্বিত করে মোদি সরকারকে হুমকি মেহবুবা মুফতির
ব্যবসায়ীর এই অভিযোগের পরপরই সুমিত সিং ওরফে চিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। শচীন ওয়াজের হয়ে চিন্টু হোটেল ব্যবসায়ী থেকে টাকা নিয়েছিল। ওয়াজে সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসার ছিলেন। তোলাবাজির অভিযোগে গত মার্চ মাসে এনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে।