আগেরদিন এখানে লিখেছিলাম, এবার বাংলাকে ম্যাচ জেতানোর পালা দলের বোলারদের। সেটাই হল। বাংলা ৭২ রানে লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল হায়দারবাদের বিপক্ষে। এবং বোলাররা ম্যাচ জিতিয়ে দিল। প্রতিপক্ষকে ১৬৬ রানে আটকে দিল। এলিট গ্রুপ বি – তে পরপর দুটি ম্যাচ সরাসরি জিতে নিল।
বাংলার পেসার আকাশদীপ ৪ টি উইকেট (৪/৪১) নিলেন। আর শাহবাজ আহমেদ আবার আগের ম্যাচের মত ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পেলেন ৩ উইকেট (৩/৪১)। সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সাফল্য। অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দারুণ সফল।
জয়ের জন্য ২৩৯ রান দরকার ছিল হায়দারবাদের। শুরুতে ১৬ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বেসামাল ছিল দক্ষিণের এই দল।
দুটি সেশনের মধ্যেই সকলে আউট হয়ে যান। একমাত্র ব্যতিক্রম আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার তিলক ভার্মা ( ৯০ রান, ১৫২ বল, ৯x৪, ১x৬)।
আকাশদীপের দুটি বল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। তৃতীয় দিনের শেষ বলে অক্ষত রেড্ডিকে বোল্ড আউট করে দেন। আর রবিবার চতুর্থদিন সকালেই প্রথম বলে ফিরিয়ে দেন হিমালয় আগরওয়ালকে। বল প্যাড ছুঁয়ে একটি বেল নিয়ে চলে যায়। পরপর দুটি বলে দুটি উইকেট! হ্যাটট্রিক অবশ্য হয়নি।
Some notable performances from RCB boys in 2nd game of Ranji Trophy.
➡️Shahbaz Ahmed 40(61) & 51(87)
8-1-21-1 & 16-5-41-3
➡️Akash Deep 23-7-45-1 & 13.2-2-41-4
➡️Sid Kaul 20-4-63-3 & 17-3-75-2#RanjiTrophy#RCB @RCBTweets— Royal Challengers Bangalore FC (@rcbFCtweets) February 27, 2022
কটকের আবহাওয়া ছিল ঠান্ডা। হওয়া বইছিল। সিম বোলিংয়ের আদর্শ ছিল। তারই মধ্যে তিলক ( শুরু করেছিলেন ১১ রানে) আর প্রতীক রেড্ডি (১৯) জুটিতে ৪২ রান যোগ করে ফেলেন।
বাংলার অধিনায়ক অভিমূন্য লেফট আর্ম স্পিনার শাহবাজ আহমেদকে আক্রমণে আনেন। উইকেটে ফুটমার্কস জেগে উঠেছে। ১৬ ওভার টানা বল করেন। কিন্তু তিনি দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দেন প্রতীককে। আকাশ আবার বুদ্ধি রাহুলকে (১৭ রান ) ফিরিয়ে দেন । হায়দারবাদ চাপের মধ্যে পড়ে যায় লাঞ্চে ৬ উইকেটে মাত্র ১০৬ রান ওঠায়।
তিলক স্বাভাবিক মেজাজে ড্রাইভ – কাট – পুল খেলে রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। জুটি বাঁধেন রবি তেজা (২৩ রান)। সপ্তম উইকেটে ৪৯ রান যোগ হয়ে যায়। কিন্তু শাহবাজের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রবি। শাহবাজের পরের ওভারে তনয় ত্যাগরাজন ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে বোল্ড আউট হয়ে যান।
মুকেশ ফেরান রক্ষন্ন রেড্ডিকে। আকাশের বলে ডিপ মিড উইকেটে তিলকের তোলা দর্শনীয় ক্যাচ ধরেন পরিবর্ত ফিল্ডার প্রদীপ্ত প্রামাণিক, ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা।
পরপর দুটি ম্যাচ জিতে গ্রুপের শীর্ষে রইলো বাংলা।
দলের কোচ অরুণলাল খুশি এমন লড়াকু মানসিকতায়। বলেছেন, ” আমাদের দলের বোলিং শক্তি দারুণ। এক্কেবারে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছে সকলে। ” তবে দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত কোচ চান পরের ম্যাচ চণ্ডীগড়রের বিপক্ষে গা ঝাড়া দিয়ে উঠুক ব্যাটাররা।
সি এ বি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলা রঞ্জি দলকে। তিনি বলেছেন, ‘যে কোনও জয় সবসময় কৃতিত্বের। কিন্তু এই ধরনের পরপর দুটো দাপুটে জয় বিশেষ কৃতিত্বের দাবী রাখে। দলের ক্রিকেটারদের চোয়াল শক্ত করে লড়ে যাওয়া – বিশেষ করে দলের পেসারদের দাপট অনবদ্য। ‘ একই সঙ্গে দলের সাপোর্ট স্টাফদের অভিনন্দন জানান, দলের মানসিকতা এমন ইস্পাত কঠিন করে তোলার জন্য।
ছবি: সৌ টুইটার, সি এ বি।