শাসন: দীর্ঘদিন ধরেই চলছে শাশুড়ি-বউমার অশান্তি। সেই অশান্তির জেরেই মৃত্যু হয় শাশুড়ির। আর তারপরেই বউমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় প্রতিবেশীরা। তখনই স্থানীয়দের জব্দ করতে নিজের বাপের বাড়ির লোকজনকে ফোন করে ডেকে আনে বউমা। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে প্রতিবেশীদের ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাসনের বৈদ্যপুর।
কী হয়েছিল?
দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল শাশুড়ি এবং বউমার মধ্যে। বুধবার রাতে শাশুড়িকে খেতে দেওয়া নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। শাশুড়ি পাশের বাড়ি থেকে রুটি চেয়ে এনে খান। গোলমালের মধ্যেই বউমার ধাক্কায় শাশুড়ি পড়ে যান। আহত শাশুড়িকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, শাশুড়ির শেষকৃত্য মিটে গেলে ওই মহিলার তাণ্ডব আরও বেড়ে যায়। বাড়ি তাঁর নিজের বলে দাবি করে। তা নিয়েও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া হয় বউমার।
অভিযোগ, এরপরেই ওই মহিলা নিজের বাপের বাড়ির লোকেদের ফোন করে ডাকে। বাপের বাড়ির লোকেরা এরপর তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে প্রতিবেশীদের উপর চড়াও হয়। দুপক্ষের মধ্যে মারামারিও চলে। একসময় প্রতিবেশীরা বউমার বাপের বাড়ির লোকেদের মারধর করতে শুরু করে। গোলমালের খবর পেয়ে পুলিস আসে। তারাও প্রতিবেশীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি তোলে। এমনকি পুলিসের সামনেই চলে গণধোলাই। অবশেষে পুলিস ওই মহিলার বাপের বাড়ির চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন- Cyclone Asani: অশনির দাপটে অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত বাংলার মৎস্যজীবী