বানারহাট: রেশন দোকানে অনেক খাবার পাওয়া যায়৷ গত কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুঁ মেরে মাথায় ঢুকে গিয়েছে হাতির৷ তাই খিদে পেলেই চলে আসে বানারহাট ব্লকের মোগলাকাটা চা বাগানের রেশন দোকানে৷ পেটপুরে খাবার খেয়ে গোডাউন ফাঁকা করে চলে যায়৷ রবিবার রাতেও একই ঘটনা ঘটে৷ তবে বারবার রেশন দোকানে হাতি ঢুকে পড়ায় ঘটনায় বিরক্ত এবং আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ৷ ওই রেশন দোকান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রয়েছে চা বাগানের স্টাফ কোয়ার্টার৷ তাঁদের আশঙ্কা, কখনও রেশন দোকানে খাবার মজুত না থাকলে স্টাফ কোয়ার্টারে হামলা চালাতে পারে হাতি৷ তাঁরা বন দফতরের কাছে হাতির উৎপাত বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷
মোগলাকাটার চা বাগানের কাছেই রয়েছে তোতাপাড়া জঙ্গল৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খাবার খুঁজতে গিয়ে এলাকার একটি রেশন দোকানে চা শ্রমিকদের জন্য মজুত করা চাল-ডাল এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর সন্ধান পেয়ে যায় হাতিরা৷ তারপর থেকেই তাদের উৎপাত রোজকারের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ গত একমাসে ওই তোতাপাড়া জঙ্গল থেকে দু-তিনটি পূর্ণবয়স্ক হাতি খাবারের সন্ধানে চা বাগানে ঢুকে পড়ছে৷ অন্ধকার নেমে এলেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে তারা৷ হাতির স্মৃতিশক্তি অসাধারণ৷ তাই চা বাগানে এলে আগেই চলে যায় ওই রেশন দোকানে৷ তারপর খাবার খেয়ে আবার জঙ্গলে ফিরে যায়৷ গত একমাসে ১৫ বার এলাকায় হাতি হানা দিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের৷ শ্রমিকরা জানিয়েছে, একে তো তাঁদের জন্য আনা রেশন সামগ্রী খেয়ে নিচ্ছে হাতি৷ তার উপর হাতির আতঙ্কে সন্ধ্যার পর কেউ বাইরে বেরতেও পাচ্ছেন না৷ তাই হাতি তাড়াতে বনদফতরকে বাজি পটকা, সার্চলাইট ও সাইরেনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন৷
অন্যদিকে, খাদ্যসামগ্রী লুঠ হওয়া আটকাতে বন দফতরের তরফে রেশন ডিলারদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, খাদ্যসামগ্রী ঘরের বদলে মাটির নীচে চেম্বার করে রাখতে৷ অথবা দোতলায় ঘর বানিয়ে রাখলে হাতির নাগাল থেকে দূরে থাকবে৷ তাতে অন্য ভয় পাচ্ছেন চা বাগানের কর্মীরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, কাছেই রয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার৷ তাই খাবার না পেয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে হানা দেবে না হাতি তার নিশ্চয়তা কে দেবে? হাতির আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক এবং দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাঁরা৷ যদিও বন দফতরের তরফে বলা হয়েছে, হাতি ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে যেন তাদের জানানো হয়৷