জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়ির (Maynaguri) বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) গণইস্তফা। পদত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য জয়ী ৯-১০ জন সদস্যও। এছাড়াও আছেন পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্য।পাশাপাশি দলের কয়েকজন পদাধিকারীও ইস্তফা দেন। সোমবার অঞ্চল সভাপতি সহ একাধিক পদাধিকারী ইস্তফাপত্র ব্লক সভাপতির মাধ্যমে জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, কল্যাণী তরফদারকে প্রধান হিসেবে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা কেউ পছন্দ করছেন না। কারণ তিনি দুই দফায় এই অঞ্চলের প্রধান থেকেও এলাকার মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে পারেননি। বোর্ড গঠনের সময় তারই প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদী তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর যুব তৃণমূল নেতারা হামলা চালান বলে অভিযোগ। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের সদস্যদের হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙচুর আমতলা দলীয় কার্যালয়ে
সোমবার ৩১নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল নেতারা পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। মূলত জেলা তৃণমূল সভাপতি ও জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিক্ষুব্ধ নেতাদের। তাঁদের আরও দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশ জেলা নেতৃত্ব মানেননি।
ময়নাগুড়ি ব্লক ২ এর তৃণমূল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, যুব তৃণমূল কর্মীরা আমাদের নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর যেভাবে হামলা করেছে, তার নিন্দার ভাষা নেই। আমি বিষয়টি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপকে জানিয়েছি। যে কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের দলে ফিরিয়ে আনব। বিক্ষুব্ধরা অবশ্য দাবি করেন, দলে ফেরার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ময়নাগুড়ি বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৪। তৃণমূল পেয়েছে ১৮টি, বিজেপি পেয়েছে ৬টি আসন। বোর্ড গঠন হতে না হতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েছেন।