কলকাতা: ২০২১ সালের ২৩ জুন। লাহোরে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের মাথা হাফিজ সইদের (Hafeez Saeed) বাড়ির ঠিক সামনে সুইসাইড বম্বারের হানায় মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ বা তার পরিবারের কারও গায়ে অবশ্য আঁচড় পড়েনি। তবে ওই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ ভারতের উপর চাপিয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan। ইসলামাবাদ পরিষ্কার বলেছিল, তাদের কাছে প্রমাণ আছে যে ওই হামলায় ভারতের হাত আছে। হাফিজ হয়তো সে যাত্রা রক্ষা পেয়েছিল কিন্তু তার গোত্রের লোকজন কিন্তু পার পাচ্ছে না। একের পর এক ভারতের শত্রু এমন জায়গায় প্রাণ হারাচ্ছে যে জায়গাকে নিরাপদ মনে করেছিল তারা।
হরদীপ সিং নিজ্জর: নিষিদ্ধ খলিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF) সংগঠনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে দুই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারায়। ভারতে মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গির মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা। নিজ্জরকে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহর থেকে ৩০ কিমি পূর্বদিকে গুলি করে মারা হয়।
আরও পড়ুন: ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর কথা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে জোর
শাহিদ লতিফ: জইশ-ই-মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী লতিফ আর এক মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। এ বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের শিয়ালকোটের এক মসজিদে লতিফ এবং তার ভাইকে গুলি করে মারা হয়। ২০১৬ সালে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড এই লতিফ। সেই হামলায় সাতজন বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।
রিয়াজ আহমেদ: সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটের আল-কুদুস মসজিদে লস্কর-ই-তইবার বড় চাঁইকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়। জানুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে জঙ্গি নাশকতার নেপথ্যে ছিল এই রিয়াজ আহমেদ ওরফে আবু কাশিম কাশ্মীরি। সেই নাশকতায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের।
এই তালিকায় আরও নাম রয়েছে, যেমন মৌলানা জিয়াউর রহমান, পরমজিত সইং পঞ্জওয়ার, মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিম। এরা প্রত্যেকেই ভারতে কোনও কোনও জঙ্গি হামলা কিংবা হামলার পরিকল্পনায় জড়িত। প্রত্যেকেই ভারতের বাইরে, অন্য কোনও দেশে নিহত হয়েছে।