কলকাতা: সোনার কেল্লা গল্পে ফেলুদাকে সিধুজ্যাঠা বলেছিলেন, “তুমি গোয়েন্দাগিরি করছ? মানুষের অন্ধকার দিকটা নিয়ে তোমার কারবার। তাই বলে নিজের মনটাকে অন্ধকার হতে দিও না ফেলু, হতে দিও না।” পোস্তা থানার অ্যাডিশনাল অফিসার ইন চার্জ অঞ্জন সেন যেন সিধুজ্যাঠার উপদেশকেই শিরোধার্য করে নিয়েছেন। অপরাধ জগতের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়েও তাঁর মন আলোতেই পরিপূর্ণ।
অঞ্জনবাবু পেশায় পুলিশকর্মী, কিন্তু নেশায় প্রকৃতিপ্রেমী এবং ফোটোগ্রাফার। প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপের সন্ধানে পাড়ি দেন পাহাড়-পর্বত, বনজঙ্গল, নদী-সমুদ্রে। সে সব জায়গায় চিত্রকরের তুলির মতো কাজ করে তাঁর ক্যামেরার লেন্স। অসাধারণ সব ছবি তুলেছেন অঞ্জনবাবু। সেই ছবির সম্ভার দিয়েই সাজিয়ে তুললেন তাঁর অফিস ঘর। একজন পুলিশকর্মীর ইটপাথরের ঘরটাই হয়ে উঠেছে এক টুকরো প্রকৃতি। ফোটো গ্যালারিতে রয়েছে ২৩টি ছবি। কাশ্মীর সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা, তাজমহল, শহর কলকাতার বিভিন্ন রূপ ধরা পড়েছে অঞ্জনের লেন্সে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলারা
শুধু তাই নয়, তাঁর প্রকৃতি-যাপনের গল্প কেউ শুনতে চাইলে তাঁর চেম্বারে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অঞ্জনবাবু। এমন ঘটনা সত্যি বিরল। অ্যাডিশনাল ওসি নিজেই এই কর্মকাণ্ডে উচ্ছ্বসিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “বহুদিনের ইচ্ছে-পূরণ! আমার বেশ কিছু তোলা পছন্দের ছবির সম্ভার সাজিয়ে রাখলাম আমার অফিস চেম্বারে! এটাই আমার দ্বিতীয় বাসস্থান! এক চিলতে দেওয়ালে আমার মাঝেমধ্যেই হারিয়ে যাওয়া! স্বপ্নের ডানায় ভর করে উড়ে যাওয়া স্মৃতির আকাশে! কফি সহযোগে গল্প শুনতে চাইলে চলে এসো কোনও এক সন্ধ্যায়!”
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তিনি এও জানান, তাঁর নতুন ফোটো গ্যালারির উদ্বোধন করেছেন তাঁর বন্ধু, পাহাড়-প্রেমিক তথা বোহেমিয়ান গ্রুপের অন্যতম সদস্য স্মরণিক চৌধুরী। একবার ঘুরেই আসতে পারেন পোস্তা থানার ওসির চেম্বার থেকে।
দেখুন অন্য খবর: