কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আরও অস্বস্তি বাড়ল উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩১ মার্চের মধ্যে ওই উপদেষ্টাকে স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির হিসেব পেশের নির্দেশ দেন। শান্তিপ্রসাদ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ শান্তিপ্রসাদের আবেদন খারিজ করে একক বেঞ্চের নির্দেশকেই বহাল রাখে। এই বেঞ্চ শুধু সময়সীমা আরও পাঁচদিন বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বলা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির হিসেব হলফনামার আকারে মুখবন্ধ খামে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে পেশ করতে হবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আদালতে। একাধিক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। এসএসসির শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে কমিশন পাঁচ সদস্যের এক কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটির মাথায় বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই কমিটির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। বলা হয়, কমিটির পাঁচ সদস্যেরই ভূমিকা সংশয়াতীত নয়। এর আগে শান্তিপ্রসাদ-সহ কমিটির তিন সদস্যকে এজলাসে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওই উপদেষ্টা আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান। তিনি চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দাখিল করেন। ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই চিকিৎসককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। চিকিৎসক আদালতে হাজিরও হন। পরবর্তীকালে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী আদালতে জানান, আদালত যখনই ডাকবে, তখনই তাঁর মক্কেল হাজির হবেন।
আরও পড়ুন: Anarul Hossain: নেতা আনারুলের উত্থান কীভাবে? বায়োডেটা দেখল কলকাতা টিভি ডিজিটাল
আইনজীবী মহলের একাংশের আশঙ্কা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আদালতই বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসই দুর্নীতির বাসা। কমিশনের একাধিক অফিসার দুর্নীতিতে জড়িত।