যাদবপুর: সমাবর্তনের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগেই ওপেন এয়ার থিয়েটারের বাইরে কালো পতাকা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ ছাত্র সংগঠন ফেটসু (FETSU) ও এসএফআইয়ের (SFI)। ব়্যাগিংয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত ও একাধিক দাবিতে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন তাদের।
প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়। নিয়ম মেনে সমাবর্তনের জন্য প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্টের বৈঠক হয়। এ জন্য আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই বছর আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠক করার অনুমতি দেননি রাজ্যপাল। এর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক হবে কি না, এই নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তনের কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয় রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এই আবহে আচমকাই উপাচার্যকে সরায় রাজভবন।
প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর রাজ্যপালের নির্দেশ ছিল, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি।অভিযুক্তদের শুধু মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেলে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে তত দিন কোর্ট বৈঠকে বসার অনুমতি দেবেন না রাজ্যপাল। তাঁর অনুমতি ছাড়াই সমাবর্তনের আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তনের জন্য বুদ্ধদেব সাউকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। আচার্যের অনুমতি ছাড়াই শুরু হয় সমাবর্তন।
এই বিষয়ে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, আমি দুটো চিঠি কোর্ট বৈঠকে সামনে রেখেছিলাম। সরকার আমায় দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেছে। কোর্ট থেকে আমায় অনুরোধ করা হয়েছিল সমাবর্তন করতে। তাই সমাবর্তন করেছি। আমি আচার্যের চিঠি গ্রহণ করিনি। দেশ চালানোর জন্য আইন আছে। আচার্য যে তদন্তের কথা বলেছেন, আমিও চাই তদন্ত হোক। আমি ভিসি পদের জন্য লালায়িত নই। আইন মেনে যা হওয়ার তাই হবে।
অন্য খবর দেখুন