কলকাতা: কোর কমিটি ভেঙে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বদলে পাঁচজনকে নিয়ে নির্বাচন কমিটি গঠন করলেন তিনি। চন্দ্রনাথ সিনহা, রানা সিংহ, সুদীপ্ত ঘোষ, বিকাশ রায়চৌধুরী ও আশীষ বন্দোপাধ্যায় এই নির্বাচন পরিচালনা করবেন। তবে নির্বাচন কমিটিতে ঠাঁই পেলেন না বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। তাঁকে নানুর ও কেতুগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বীরভূম একমাত্র হাতছাড়া বিধানসভা আসন মহম্মদ বাজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদীপ্ত ঘোষ এবং বিকাশরায় চৌধুরীকে। ময়ূরেশ্বরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজিৎ সিংহ ওরফে রানাকে।
পশাপাশি মঙ্গলবার কালীঘাটে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল সূত্রে খবর, বঠকে কেষ্ট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, দলে অনুব্রত মণ্ডলের অবদান অনেক আছে। অনুব্রতকে উপযুক্ত সম্মান দিতে হবে। তিনি ফিরে এলে তাঁকে দায়িত্বে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কেষ্টহীন বীরভূম নেতৃত্বকে নিয়ে মঙ্গলে কালীঘাটে বৈঠক মমতার
২৪ লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে কালীঘাটে (Kalighat) বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বীরভূম। বিশেষ করে অনুব্রতহীন এই জেলায় বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ রয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ওই জেলার সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে আজ বৈঠকে বসেন মমতা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমের দুটি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল। তবে সবকটি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই ওই আসনগুলিতেই ২৪-র লোকসভা নির্বাচবনে ঝাঁপাতে চাইবে বিজেপি। তাই কেষ্টহীন বীরভূমে সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই এই বৈঠক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিনের বৈঠকে নতুন করে নির্বাচন কমিটি কতটা সফল হয়, তা নির্বাচনের ফলাফলেই জানা যাবে।