কলকাতা: শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বক্তব্য, পৌনে ১২ টার সময় পরিবর্তন করে পৌনে ১০টা হওয়ার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। প্রশাসনিক কারণে করার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, সময় পরিবর্তন যেমন যুক্তিযুক্ত নয়, তেমনি এখন এবার এটা পরিবর্তন করলে, সেটা নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাতে আরও বিভ্রান্তি বাড়তে পারে পরীক্ষার্থীদের।
পরীক্ষার্থী স্বার্থে কন্ট্রোল রুম ছাড়াও হেল্পলাইন এবং হট লাইন রাখা হয়েছে। কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার পথে সমস্যায় পড়লে প্রশাসন যথাসম্ভব সাহায্য করবে। আদালতকে জানাল রাজ্য।
বিচারপতির নির্দেশ, হেল্পলাইন ও হটলাইন নম্বর সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করতে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় পুলিশ প্রশাসন মারফত মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরেও পরিস্থিতি ঠিক কেমন অবস্থায় রয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারি হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: কেষ্ট-কাজল গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূম
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন তুলে বলেন, হঠাৎ পরীক্ষা শুরুর ১৫ দিন আগে কেন এই সময় পরিবর্তন? রাস্তার যানজট। ভোগাস যুক্তি। হঠাৎ এ বছর এই সময়ে আপনাদের এটা মনে পরল কেন? আমি এই সময় পড়ুয়াদের কোনও বিড়ম্বনায় পড়ুক চাইবো না। এ সব ফালতু যুক্তি দিয়ে আপনাদের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। দায়িত্ব জ্ঞানহীন ভাবে এই সব করা হচ্ছে। এটাকে কোনওভাবে সমর্থন করা যায় না। আপনারা মামলাকারির ব্যাপারে টেকনিক্যাল প্রশ্ন তুলে ব্যাপারটা ঘুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: