কলকাতা: ১০ মার্চ, রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। লোকসভা ভোটের আগে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সমাবেশে উত্তরবঙ্গের নেতৃত্ব সহ কর্মীদের শামিল করতে তৃণমূল দুটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদন রেল খারিজ করে দিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
সোমবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলা হয়, ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের আবেদন মঞ্জুর করেনি। সেইসঙ্গে তাদের আবেদনপত্রের কপিও তুলে ধরা হয়েছে ওই পোস্টে।
রেল কর্তৃপক্ষের তরফে এমন চিঠি পাওয়ার পরই এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন একটি পোস্ট করে লেখেন, বিজেপির এই ধরনের তুচ্ছ প্রয়াসকে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ ১০ মার্চ জনগর্জন সভায় উপস্থিত হবে।
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তৃণমূলের তরফে রেলের কাছে বিশেষ ট্রেনের আবেদন জানানো হয়েছিল। তখনও রেল তৃণমূলের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বলে অভিযোগ। ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, এভাবে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ আটকানো যাবে না। ওইদিন ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের কাছে না করে আইআরসিটিসির কাছে আবেদন করেছে। তাই রেল জানিয়েছে, রেক দেওয়া যাবে না। এর আগেও তারা একই কাণ্ড করে প্রচার পেতে চেয়েছিল। এবারও তৃণমূল তাই করল।