কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে অবশেষে বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT গঠন করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। ওই তদন্তকারী দলে ১০ জন দক্ষ আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন। যারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন।
এই ১০ আইপিএস অফিসারকে পাঁচটি ডিভিশনে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে দুই জন করে থাকা বিভাগগুলি হল- হেড কোয়ার্টার, উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ জোন এবং কলকাতা জোন। চলতি সপ্তহের বুধবার নবান্নের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে ওই সিট এবং তার সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যের কার্যনির্বাহী ডিজি মনোজ মালব্যকে হাইকোর্টের তলব
দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল যে খুন বা ধর্ষণের মতো বড় ঘটনার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের তিন আইপিএস আধিকারিক সুমনবালা সাহু, সৌমেন মিত্র এবং রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠিত হবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে দুই তদন্তকারী দলকেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত শুরু করলেও রাজ্য সিট গঠন করেনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী কাশীনাথ বিশ্বাস। আদালতের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “এখনও কেন তৈরি হল না রাজ্যের পুলিশকর্তাদের নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি। ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিযুক্তকরণের কাজ। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কিভাবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে SIT?”
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেছিলেন, “সিট যে কাজ করছে না সেটা আমরা জানি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” যদিও যথাসময়েই সিট গঠন করে ফেলেছে রাজ্য। খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে তদন্ত।
অন্যদিকে, ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জামালপুরে নিহত এক বিজেপি(BJP) কর্মীর পরিবারের বাড়িতে গেলেও, যায়নি নিহত দুই তৃণমূল(TMC) কর্মীর বাড়িতে। তাহলে কি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন তদন্তকারী সংস্থা কী পক্ষপাতিত্ব করছে? উঠছে প্রশ্ন।