তমলুক: বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী ভগীরথ মান্নাকে অপর একটি মামলায় পুলিশ (Police) হেফাজতে নেওয়ার আবেদন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) গণনার আগের দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের সামনে নাইকুড়ি ঠাকুরদাস ইনস্টিটিউটে স্ট্রংরুমের বাইরে তমলুক পাঁশকুড়া রাস্তায় ব্যাপক গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল কুমার খাঁড়াকে ব্যপক মারধর করা হয়েছিল। পাশাপাশি একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দীর্ঘক্ষন পরে তমলুক থানার পুলিশ কেন্দ্র বাহিনীকে সঙ্গে করে এনে আহত অবস্থায় চঞ্চল খানাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে তমলুক ব্লকের বহিচাড় গ্রামের বিজেপি প্রার্থী ভগীরথ মান্নাকে মারধর করে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন পুলিশ একটি মামলা করে তমলুক জেলা আদালতে। মোট ১৩ জনের নামে মামলা করা হয়। দশ জনকে জেল হেফাজত পাঠানো হয়, একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভগীরথ মান্না সহ দুজনকে তিনদিনের হেফাজত নেয় তমলুক থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভগীরথ মান্নাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে চঞ্চল খাঁড়ার স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অন্য একটি মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তমলুক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:Panchayat Election 2023 | মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েতের ফলে খুশি সিপিএম
তমলুক জেলা আদালতের বিচারক আগামী শনিবার মামলার শুনানি দিন ধার্য করেছে। এদিকে ভগীরথ মান্নার স্ত্রী জানান, আমার স্বামী বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছে বলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাড়িতে একটি আঠারো বছরের শয্যাশায়ী প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে। তার দেখভাল করতেন ভগীরথ মান্না। তাঁর স্ত্রীর কাতর আবেদন, যাতে স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।