কলকাতা: গাদা বন্দুক দিয়ে, ছররা বন্দুক দিয়ে পাখি মারা যায়, বাঘ শিকার করা যায় না। এই অমোঘ সত্য আইপিএলের প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি জানে, শুধু জানে না কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। প্লে অফের রাস্তা আগেই দুর্গম হয়ে গিয়েছিল, শনিবার তা অনতিক্রম্য হল কেকেআরের বদান্যতায়। বল করে লখনউকে ৭৩ রানে পাঁচ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরেও রান উঠল ১৭৬। আর ব্যাট করার সময় ৫.৫ ওভারে ৬১ রানে প্রথম উইকেট থেকে ১২০ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গেল।
আসলে ছররা বন্দুক দিয়ে বাঘ মারা যায় না, আগেই বলেছি। আসুন দেখি এই কেকেআর টিমের কে ছররা আর কে সঠিক আগ্নেয়াস্ত্র।
১) জেসন রয় সবথেকে কম সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি গাদা বন্দুক নন।
২) ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে কেকেআর রেখে দিয়েছিল শুভমান গিলকে ছেড়ে দিয়ে। এ মরশুমে একটা শতরান করেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি আসলে ওই গাদা বন্দুক।
৩) রহমানুল্লাহ গুরবাজ বিশেষ সফল না, তবে তাঁকে আর একটু সুযোগ দেওয়া উচিত।
৪) নীতীশ রানা একেবারেই গাদা বন্দুক, অধিনায়ক হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে ঝোলানো কাজের কথা নয়।
আরও পড়ুন: IPL 2023 | DC vs CSK | বিশাল স্কোর খাড়া করল চেন্নাই, ধোনিদের প্লে অফ প্রায় নিশ্চিত
৫) রিঙ্কু সিং এই দলের একমাত্র বন্দুক যিনি বাঘ সিংহ হাতি জলহস্তী সব শিকার করার ক্ষমতা রাখেন।
৬) শার্দূল ঠাকুরকে লর্ড বলা হয় ঠিকই, তবে একটা ম্যাচ ছাড়া তিনি চরম ব্যর্থ।
৭) আন্দ্রে রাসেলের জন্য যত বিজ্ঞাপন হয়েছে তার ১০ শতাংশ রান করলেও হত। কেকেআরের উচিত সটান তাড়িয়ে দেওয়া।
৮) সূনীল নারিন এককালে কেকেআরের সেরা ক্রিকেটার ছিলেন, এখন নেই।
৯) বরুণ চক্রবর্তী কোনওদিন ভালো তো কোনওদিন জঘ্যন্য।
বাকিদের নাম করা হল না কারণ বাকিদের কেউ আইপিলের যোগ্য নয়। এই ম্যাচ মাত্র ১ রানে হারার কারণ শুধু রিঙ্কু।