Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকNorth Korea | ICBM | ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার, বিপদ বাড়ছে...

North Korea | ICBM | ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার, বিপদ বাড়ছে আমেরিকার?

Follow Us :

সিওল: ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ (Test-Fired) করেছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ড থেকে পরীক্ষামূলক-উৎক্ষেপণ হওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যালিস্টিক মিসাইল (Ballistic Missile) ছিল। এটাই প্রথম নয়, চলতি বছরে এর আগেও ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং (Pyongyang)। দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সোমবার (২৭ মার্চ) কোরীয় উপদ্বীপের (Korean Peninsula) পূর্ব দিক থেকে নিক্ষেপ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ান জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (Joint Chief of Staff) এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। জাপানের উপকূল রক্ষীবাহিনীও (Japan’s Coast Guard) এই খবর নিশ্চিত করেছে। তাদের বক্তব্য, উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ড থেকে সন্দিগ্ধ ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চ (Suspected Ballistic Missile Launch) হয়েছে, তা সনাক্ত (Detect) করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War updates | বেলারুশ নিয়ে পুতিনের সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা ন্যাটোর 

চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের (Chinese Defence Scientists) মতে, উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা (Military Capability) চিন্তাজনক বিষয় (Concerning Matter) হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা (Warning), উত্তর কোরিয়ার হাতে এখন এমন সমস্ত ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে, যা ৩৩ মিনিটের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পৌঁছে আঘাত হানতে ও ধ্বংসলীলা চালাতে সক্ষম।   

উত্তর কোরিয়ার হসং-১৫ (Hwasong-15) মিসাইল এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার বিষয়বস্তু। বলা হচ্ছে, এটি পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন হাতিয়ার (Nuclear Capable Weapon)। জাপান সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করেছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মার্কিন মিসাইল ডিফেন্স নেটওয়ার্ক (US Missile Defence Network) যদি এই মিসাইল সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মধ্য আমেরিকায় (Central America) মাত্র ৩৩ মিনিটের ব্যবধানে পৌঁছে পারমাণবিক ক্ষমতা-সম্পন্ন এই ব্যালিস্টিক মিসাইল। বিশেষজ্ঞরা সেই জাবিই করছেন। সোমবার একটি নয়, দু’টি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছেন পিয়ংইয়ং। তবে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই শর্ট-রেঞ্জের (Short-Range) ছিল। ক্ষেপণাস্ত্রগুলি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (Exclusive Economic Zone) বাইরে পড়েছে। 

প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক, উত্তর কোরিয়া গত ১৯ মার্চ সমুদ্রে মিসাইল ছুড়েছিল। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং উপকূল রক্ষী বাহিনী (Japan’s Defense Ministry and Coast Guard) এই খবর নিশ্চিত করেছে। ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার (Yonhap News Agency) দেওয়া তথ্য বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সূত্রেও জানানো হয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল জলসীমার পূর্বে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া (Joint Military Drills) শুরু হওয়ার পর থেকে এটি তৃতীয় রাউন্ডের সামরিক অস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে। মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মবড়াকে উত্তর কোরিয়া সম্ভাব্য আগ্রাসন (Invasion) হিসেবে দেখছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়া একসঙ্গে একাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল। তার দু’দিন পর ফের একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (Intercontinental Ballistic Missile) নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া, যাকে সাডেন লঞ্চিং ড্রিল (Sudden Launching Drill) বলা হচ্ছে। 

জাপানের কোস্ট গার্ড তরফে খবর, উত্তর কোরিয়া তিনটি সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ক্ষেপণাস্ত্র (missile-like projectiles) নিক্ষেপ করেছে। তবে, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আটকানো (Intercept) হয় এবং জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে আছড়ে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএম (Intercontinental Ballistic Missile – ICBM) উৎক্ষেপণের জবাবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যৌথ বিমান মহড়া (bilateral joint air exercises) চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ব্যালিস্টিক মিসাইল কী?

ব্যালিস্টিক মিসাইল হল, রকেট-চালিত স্ব-নির্দেশিত সামরিক-অস্ত্র ব্যবস্থা (Rocket-Propelled Self-guided Strategic-Weapons System), যা ব্যালিস্টিক ট্র্যাজেক্টোরি (Ballistic Trajectory) অনুসরণ করে তার উৎক্ষেপণ স্থান থেকে একটি পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যে নির্দিষ্ট পেলোড (Payload) অর্থাৎ বিস্ফোরক বহন করে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চিরাচরিত উচ্চ বিস্ফোরকের (Conventional High Explosives) পাশাপাশি রাসায়নিক, জৈবিক কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র (Chemical, Biological, or Nuclear Munitions) বহন করতে সক্ষম।

RELATED ARTICLES

Most Popular