কলকাতা: দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh)। জিজ্ঞাসাবাদে ইডির সামনে স্বীকার করে নেন তিনি তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে চিনতেন। কুন্তলের ডাকা অনেক রাজনৈতিক কর্মসূচীতে গিয়েছিলেন তিনি। এমন কী তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথাও স্বীকার করে নেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তবে সেই টাকা নিয়োগ দুর্নীতির কি না তা তিনি যানতেন না। এমনটাই ইডির আধিকারিকদের জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তে উঠে আসে সায়নীর নাম। সম্পত্তি কেনাবেচাতেও নাম জড়িয়েছে সায়নীর বলে ইডির দাবি। সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল (TMC) যুব কংগ্রেসের সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, এদিন হাজিরার সময় তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই মতোই শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সকাল ১১টায় সায়নী হাজিরার দেন।এদিন সিজিওতে ঢোকার সময় সায়নী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তলব। সব রকম সহযোগিতা করতে এসেছি। এই প্রসঙ্গে ভোটের মুখে হেনস্থা করতেই এভাবে ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। নির্বাচনের আগে সিবিআই, ইডি নানারকম টিম পাঠিয়ে তৃণমূলকে হেনস্থা করাই উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | কংগ্রেসের জোকার অধীর চৌধুরী এবং গান্ধী পুরস্কার
ইডি সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তৃণমূল যুবনেত্রী জানান, তিনি কুন্তলের আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন।তার জন্য পারিশ্রমিকও নেন। কুন্তল যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত তা তিনি জানতেন না। ওই বহিষ্কৃত যুব নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর সায়নী সব জানতে পারেন।
এদিন সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেও সায়নীকে সিজিও কমপ্লেক্সে বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর দেওয়া বিভিন্ন নথি পথ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।