কলকাতা: আকাশে রোদ-বৃষ্টির ফাঁকে পেঁজা তুলোর মেঘ জানান দিচ্ছে, পুজো যে এসে গিয়েছে। সেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্রপাঠ শুনে মেতে ওঠে আপামর বাঙালি। দেশ থেকে অনেক দূরে থাকা মানুষগুলোর পুজোয় বাড়ির জন্য মন কেমন করলেও উপায় নেই দেশে ফেরার। সারা বিশ্বের যে প্রান্তে বাঙালি আছেন, সেখানে আর কিছু হোক না হোক দুর্গা পুজো যে হবেই সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কানাডার ডারহ্যামের বাঙালিরা (Durga Puja in Canada) মেতে ওঠেন প্রত্যেক বছর দুর্গা পুজোয়। বাহ্যিক চাকচিক্যে দেশের পুজোর সঙ্গে হয়ত প্রবাসের পুজোর তুলনা করা সমীচীন নয়। গোটা দেশের পাশাপাশি কিন্তু কানাডার (Canada) আকাশে-বাতাসেও কিন্তু এখন শারদ উৎসবের ছোঁয়া। সৌজন্যে, আগমনী দুর্গা পুজো।
আরও পড়ুন: টেমসের আকাশে শরতের ছোঁয়া, মিনি কলকাতায় পরিণত হবে লন্ডন
আর সারা বিশ্বে যত দুর্গাপুজোর আয়োজন প্রবাসী বাঙালিরা করেন, কানাডার গ্রেটার টরন্টো এলাকার বিভিন্ন দুর্গাপুজোগুলো যে তাদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছে তা আজ সর্বজনবিদিত। শেষ দুই বছর কোভিডের সময় জাঁকজমক একটু স্থিমিত থাকলেও কিন্তু এখন ধুমধাম করে সেখানে পালন হয় দুর্গাপুজো। এবারও স্বমহিমায় আয়োজন হতে চলেছে টরন্টোর সমস্ত দুর্গাপুজো।
বিভিন্ন বাঙালি খাবারের স্টল এইসময় পুজোর আশেপাশে থাকে যেখানে পুজোর কটাদিন মনের ও জিভের তৃপ্তি করতে পারা যায়। মানে এক কথায় বলতে গেলে, টরন্টোতে যেন এক টুকরো বাংলা বিরাজ করে এই পুজোর ক’দিন।
তবে কিনা প্রবাসের বাকি সব দুর্গাপুজোর মতোই টরন্টোতেও বেশিরভাগ ভাগ পুজো হয় উইকেন্ডে। আবার কিছু সংস্থা আছেন যারা পুজোর দিনগুলিতেই পুজো করছেন। ভিড় করে আসা আবেগ নিয়ে সব্বাই মিলে এক সঙ্গে, এই প্রবাসে, প্যান্ডেল বানানো থেকে শুরু করে ভোগের আয়োজন, আলপনা দেওয়া থেকে শুরু করে মণ্ডপ সজ্জা, পুজোর ক’টা দিন হাতে হাত মিলিয়ে একটা পরিবারের মতো সবাই সমস্ত কাজটা সম্পন্ন করে। পুজোর কোনও খুঁটিনাটি কিন্তু কোথাও বাদ পড়ে না। কলা বউ স্নান, অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধি পুজো এবং সিঁদুর খেলা সবটাই কিন্তু ধরা পড়ে এখানে।