প্রচন্ড কাজের চাপ হোক কিংবা সাময়িক অসুস্থতা। শরীরের ক্লান্তির ছাপ সবথেকে প্রথমে পড়ে মুখের ওপর। তা ডার্ক সার্কেল হোক কিংবা স্ট্রেসের কারণে মুখে গোটা, কিংবা ত্বকের জেল্লা কমে যাওয়া বা ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। তা কারণ যাই হোক না। ঠিক সময়ে ঘরোয় পরিচর্যায় ও প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের এই সমস্যাগুলো অনেকটাই সারিয়ে তোলা যায়। কীভাবে করবেন এই পরিচর্যা? জেনে নিন-
ভিটামিন ই ও অ্যালোভেরা
শুষ্ক ত্বককে সতেজ ও সুন্দর করে তুলতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। আর এই ভিটামিন ই যদি অ্যালোভেরার সঙ্গে মেশানো যায় তাহলে একেবারে সোনায় সোহাগা। এই প্যাক ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। রাতে এই প্যাক মুখে মেখে শুয়ে পড়ুতে পারেন।
কীভাবে এই প্যাক তৈরি করবেন
- একটি পাত্রে ১ টেবিলচামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। এটে ভিটামিন ই-র ক্যাপসুল ফুটে করে ভিতরের তরল পদার্থ মিশিয়ে দিন।
- মুখ ভাল করে ধুয়ে এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন। চাইলে সারারাত মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
- তফাতটা সকালে উঠে নিজেই বুঝতে পারবেন। ত্বক অনেক বেশি সতেজ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
শশা ও মুলতানি মাটির প্যাক
ক্লান্ত ত্বক মানেই রোমকূপের মুখে প্রচুর পরিমাণ ময়লা ও তেল জমে থাকা। আর এর ফলে মুখ অতিরিক্ত তেল তেলে হয়ে ব্রণ-র সমস্যা হতে পারে। এই সময় ত্বকের আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি প্রয়োজন ত্বকের রোমকূপগুলো তেল ময়লা মুক্ত করা।
কীভাবে তৈরি করবেন এই প্যাক
- শশা ভাল করে ঘষে নিন। এবারে একটি কাপড়ে এই শশা রেখে শশার রস বার করে নিন।
- এবার এই রস মিনিট দুয়েক ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে দিন। এরপর একটি পাত্রে ১ বড় চামচ মুলতানি মাটি ঢেলে নিন।
- শশার রস ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
- এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। পনেরো মিনিট মুখে রেখে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন। মুখ নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন।
গোলাপ জল ও চন্দনের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি প্যাক
ত্বক ক্লান্ত ও শুষ্ক হয়ে পড়লে অবিলম্বে আর্দ্রতা জোগানোর প্রয়োজন। গোলাপ জল ঠিক এই কাজটাই করে। আর ত্বকক পরিষ্কার করে ত্বকের হারানো জেল্লা ও তারুণ্য ফিরিয়ে আনে চন্দন।
কীভাবে এই প্যাক তৈরি করবেন
- একটি পাত্রে এক টেবিলচামচ চন্দন পাওডার ও এক চা চামচ গোলপ জল ঢেলে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। দশ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে পেলুন।
- যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এতে অ্যালোভেরা মিশিয়ে নিন।