কলকাতা: শরতের উৎসবের মরসুম শেষ হতে না হতেই হৈমন্তিক অনুভূতিকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয়ে যায় শীতের প্রস্তুতি। শীতকাল মানেই সুস্বাদু খাবার, পিকনিক, পার্টি, রংচঙে গরম পোশাক, বেড়াতে যাওয়া আর মন জুড়ে আনন্দ শুধুই আনন্দ। নিশ্চয়ই ভাবছেন এবার শীতে কোথায় যাবেন? চিন্তা নেই! এবারের সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে যেতে পারেন বাঁকুড়ার (Bankura) কোড়ো পাহাড়ে (Koro Pahar)।
বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কোড়ো পাহাড়। সবুজে ঢাকা ছোট্ট পাহাড়। উচ্চতা খুব বেশি হলে ৫০০ ফুট হবে। আশেপাশে শহুরে কোলাহল বা খুব বেশি জনবসতি নেই। পাহাড়ের এক পাশ দিয়ে নিশ্চুপে বয়ে চলেছে শালি নদী। তার পাশ দিয়ে লাল মাটির রাস্তা চলে গিয়েছে জঙ্গলের মধ্যে। এই পথ ধরে বড় বড় পাথরের চাঁই ডিঙিয়ে একদম পাহাড়ের মাথায় ওঠা যায়। পাহাড়ের চূড়ায় বাস অষ্টভূজা পার্বতীর মন্দির। তার পাশাপাশি এই পাহাড়ে একটি আশ্রমও রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা এবং দুপুর ৩টে থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা থাকে। তবে, শীতের সময় তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা নামলে মন্দিরের দরজাও বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সোলো ট্রিপে যাবেন? মহিলাদের জন্য আদর্শ এই ৩ জায়গা
পাহাড়ের মাথা থেকে দেখা যায় সূর্যাস্ত। যেহেতু পর্যটন মহলে এই পাহাড়ের খুব বেশি নামডাক নেই, তাই এখানে কম মানুষের যাতায়াত। বাঁকুড়া থেকে অমরকানন যাওয়ার পথে পড়ে এই ছোট্ট এলাকা। অমরকানন যাওয়ার পথে ছোট্ট সাঁকো পার করে রাস্তা ঠিক যেমন-যেমন এগিয়েছে, সেই পথ ধরে এগোলেই পৌঁছনো যাবে কোড়ো পাহাড়ে। পার্বতী মন্দিরের সঙ্গে যে আশ্রম রয়েছে সেটাই ‘মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম’। এখান থেকে অনেকেই কোড়ো পাহাড়কে ‘তপোবন’ও বলে।
আশ্রমকে পিছনে ফেলে এগোলেই চোখে পড়বে পাহাড়ে ওঠার সিঁড়ি। দুপাশ দিয়ে গাছগাছালি। তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে উঠতে হবে কোড়ো পাহাড়ের উপর। তাহলে আর দেরি না করে, বাঁকুড়ার কোড়ো পাহাড়ে যাওয়ার প্ল্যান করে ফেলুন। গাড়িতে কোড়ো পাহাড় পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা। শহরের দমবন্ধ করা পরিবেশ থেকে বেরিয়ে সেখানে গিয়ে একটা দিন কাটিয়ে এলে মন ভালো হয়ে যাবে সবারই।
দেখুন আরও অন্য খবর: