এই চাঁদি ফাটা রোদ ও প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক ভাবেই ঠান্ডা কিছু খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায় কয়েকগুন। বরং গরম বাড়লেই কোল্ড ড্রিঙ্ক ও আইসক্রিমের হাতছানির লোভ এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে বাচ্চাদের এই লোভ বেড়ে যায় কয়েকগুন। এদিকে বেশি পরিমানে এই আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়াও ঠিক নয়। তাই বাজার থেকে এই সব জিনিস না কিনে বরং বাড়িতে জাম ও পুদিনা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন দারুণ এই পপসিকেলস। এতে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার লিপসাও মিটবে আবার ফলের পুষ্টি ঢুকবে শরীরে।
কীভাবে বানাবেন এই পপসিকেলস(popsicles) জেনে নিন-
- প্রথমে বাজার থেকে জাম কিনে ভাল করে ধুয়ে নিন। এই জাম ব্লেন্ডারে ঢেলে পিউরি বানিয়ে নিন।
- এবার এই পিউরিতে চিনি, পাতিলেবুর রস ও পুদিনা পাতা ব্লেন্ডারে ভাল করে পিষে নিন।
- এবার এই পিউরিতে বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী নুন, চাট মসালা বা বিটনুন মিশিয়ে নিন।
- এবার এই মিশ্রণ পপসিকল মোল্ডে ঢেলে নিন। এবার এই পপসিকল শুকিয়ে গেলেই এতে কাঠি গেঁথে দিন।
- এবার পপসিকল মোল্ডের ঢাকনা বন্ধ করে পপসিকাল জমাতে ফ্রিজে রেখে দিন।
- এই পপসিকল ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা পপসিকল ট্রে ফ্রিজ থেকে বাইরে বার করে নিন। এই ট্রে জলের তলায় রেখে পপসিকল মোল্ড থেকে পপসিকল বার করে নিন।
- এরপর এই জামের পপসিকল প্লেটে রেখে সামান্য কিছু পুদিনা পাতা, পাতিলেবুর রস ও আইসিং সুগার দিয়ে গার্নিশ করে নিন। এভাবে গার্নিশ করে সবাইকে পপসিকল পরিবেশন করুন।
জামের প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের একাধিক সমস্যা সারিয়ে তুলতে ভীষণ কার্যকরী। শুধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই নয়, এছাড়াও এতে রয়েছে একাধিক পুষ্টি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। জামে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সডেন্ট থাকায় এটা ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে ডায়বিটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এদিকে জামের মতো পুদিনা পাতারও একাধিক উপকারিতা আছে, গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে, পেটের সমস্যায় কাজে দেয়, দাঁত ও মুখে জীবাণু সংক্রমন প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অ্যালার্জির সমস্যা কাজে আসে।
(ছবি সৌ:Unsplash)