Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশMamata Banerjee: আগামী বছর দেশ থেকে ডবল ইঞ্জিন হঠাবে তৃণমূলই, দাবি মমতার

Mamata Banerjee: আগামী বছর দেশ থেকে ডবল ইঞ্জিন হঠাবে তৃণমূলই, দাবি মমতার

Follow Us :

আগরতলা: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে দেশ থেকে ডবল ইঞ্জিন সরকার হঠাবে তৃণমূলই, মঙ্গলবার আগরতলায় এমনটাই দাবি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক বিশাল জনসভায় তিনি বলেন, ভোট মিটে গেলেই সবাই উধাও হয়ে যায়। তৃণমূল (TMC) এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ভোট থাকুক বা না থাকুক, তৃণমূল সব সময় মানুষের পাশে থাকে। নির্বাচন সামনে এলেই ডবল ইঞ্জিনের কথা শোনা যায়। না হলে কারও দেখা মেলে না। 

এই সভার আগে আগরতলায় পদযাত্রা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই পদযাত্রায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjeee) সহ তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev) ও অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রায় আট কিলোমিটার পথ হাঁটেন তিনি। পদযাত্রাতেও লোক সমাগম হয়েছিল ভালোই। রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে মানুষ তৃণমূল নেত্রীকে অভিনন্দনও জানান। পদযাত্রা শেষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সভা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব হন তিনি। মঞ্চ থেকেই মমতার হুঙ্কার, আগামী লোকসভা ভোটেই ডবল ইঞ্জিন সরকার তাড়াবে তৃণমূল। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় শান্তি-উন্নয়ন-কর্মসংস্থান বজায় রাখতে তৃণমূলকে চাই। নির্বাচনের আগে আমরা যা বলি, তার চেয়ে বেশি করি। বাংলায় আমরা কী না করেছি। দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার করেছি। আগরতলায় এসে দেখলাম, ত্রিপুরার মাতাবাড়ি মন্দিরে গত কয়েক বছরে কোনও কাজ হয়নি। বাংলার উদ্বাস্তুরা জমির পাট্টা পেয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরায় পায়নি।

আরও পড়ুন:Rahul Gandhi: ২০ বছরে আদানি কত টাকা দিয়েছে বিজেপিকে, চাঁচাছোলা আক্রমণ রাহুলের

তিনি বলেন, বাংলা আর ত্রিপুরার সংস্কৃতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। ত্রিপুরা আমার দ্বিতীয় ঘর। এর আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর বিজেপি ব্যাপক হামলা করেছে। তৃণমূলের পতাকা লাগালে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ত্রিপুরায় অভিষেক ও সুস্মিতা দেবের উপর হামলা হয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে এখনও একগাদা মামলা চলছে। আমরা তখন একা বিজেপির মোকাবিলা করেছি। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় বাম-কংগ্রেস-বিজেপি মিলে প্রার্থী দেয়। এখানে আবার বাম-কংগ্রেস জোট করেছে। আগেরবার সিপিএমের কমরেডরা সব বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন। এখন আবার সিপিএম হয়েছেন। বাংলা-ত্রিপুরায় আলাদা অবস্থান কেন? আমরা একাই লড়ব। ত্রিপুরার উন্নয়ন আমরাই করব।

সোমবার বিকেলে আগারতলায় পৌঁছন মমতা এবং অভিষেক। তাঁরা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। রাতে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সোমবার একাধিক জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েই ছিল সিপিএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথার সমালোচনা। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মাথা কমিউনিস্টদের সাহায্য করছে। তাদের ভোট দেওয়া মানেই আদতে কমিউনিস্টদের ভোট দেওয়া। শাহের আরও অভিযোগ, সিপিএমের আমলে গোটা ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল। ২০১৮ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে সেই সন্ত্রাস বন্ধ করে বিজেপি, শুরু হয় উন্নয়ন। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ভাষণে একটিবারের জন্যও তৃণমূলের নাম উচ্চারণ হতে শোনা যায়নি। মঙ্গলবার আগরতলায় একাধিক জনসভায় ভাষণ দেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। তিনি বলেন, ত্রিপুরার প্রচারে তৃণমূলের নাম উচ্চারণ না করা নিয়ে দলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টরই না। 

RELATED ARTICLES

Most Popular