নয়া দিল্লি: সোমবার অবসর নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি এমআর শাহ (Justice MR Shah)। নিজের কর্মজীবনের শেষ দিনে ভরা এজলাসে বসে রাজ কাপুর অভিনীত ‘মেরা নাম জোকার’ সিনেমার সুপারহিট গান আবেগঘন গলায় গাইতে গাইতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিচারপতি। তাঁর পাশে বসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice DY Chandrachud) তখন কার্যত বাকরুদ্ধ। এমআর শাহকে বিদায় জানানোর সময় পাকিস্তানি কবি ওবাইদুল্লাহ আলিমের একটি কবিতার অংশ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “আখ সে দূর সাহি দিল সে কাহা যায়েগা, জানে ওয়ালে তু হামে বহত ইয়াদ আয়েগা(আপনি আমাদের দৃষ্টি থেকে দূরে থাকতে পারেন, কিন্তু আমাদের হৃদয় থেকে নয়, আমরা আপনাকে অনেক মিস করব)”। পাশাপাশি, এমআর শাহকে ‘টাইগার শাহ’ বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আপনাকে খুব মনে পড়বে।”
এমআর শাহকে ‘টাইগার শাহ’ বলার পিছনে যুক্তিও দিয়েছেন চন্দ্রচূড়। তিনি বলেছেন, তাঁর সাহস ও লড়াইয়ের মনোভাবের জন্যই বিচারপতি শাহকে ‘টাইগার শাহ’ বলে ডাকেন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, “২০২২ সালের ৯ নভেম্বর, কলেজিয়ামে যোগ দেন বিচারপতি শাহ। সেদিনই প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় আমাকে। কলেজিয়ামে তিনি আমার খুব কাছের সহকর্মী ছিলেন। তাঁর অনেক ব্যবহারিক জ্ঞান রয়েছে। যখন আমরা অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম সাতটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিলাম সেই সময় তাঁর চমৎকার পরামর্শ আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছিল।”
আরও পড়ুন:Shivkumar on Mamata | মমতার সমর্থন বার্তায় খুশি কংগ্রেসের শিবকুমার, বিজেপি বিরোধী ঐক্যে নয়া সমীকরণ
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “বিচারপতি শাহর সঙ্গে আমি কোভিডের সময়ে একসঙ্গে অনেক মামলার বিচার করেছি৷ ফৌজদারি মামলা বা জিএসটি সংক্রান্ত মামলা যাই হোক না কেন, আমাদের অভিজ্ঞতা দারুণ।” ১৯৯৮ সালে গুজরাট হাইকোর্টে শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিও স্মরণ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “তাঁকে একটি মামলায় হাজির হতে হয়েছিল কিন্তু মুম্বাইতে তার গাউন ভুলে রেখে গিয়েছিলেন এবং বিচারপতি শাহ তাঁর জুনিয়রের থেকে তার জন্য একটি গাউনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ”
এদিকে কর্মজীবনের শেষ দিনে বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বারকে ধন্যবাদ জানান শাহ। তিনি বলেন, “আমি আমার ইনিংসটা খুব ভাল খেলেছি। আমি সবসময় আমার বিবেককে অনুসরণ করেছি। আমি সবসময় ঈশ্বর ও কর্মে বিশ্বাস করি। আমি কখনও কিছু আশা করিনি… আমি সবসময় গীতা অনুসরণ করতাম।”