নয়াদিল্লি: দিল্লি হিংসা (Delhi Violence) মামলায় প্রথম কোনও দোষীর জেল হল। দীনেশ যাদব নামে ওই ব্যক্তির ৫ বছরের জেল হয়েছে। দীনেশের আইনজীবী শিখা গর্গ জানিয়েছেন, ১২০০০ টাকা জরিমানাও ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের তরফে এখনও বিস্তারিত রায় প্রকাশ করা হয়নি।
মাস খানেক আগে অতিরিক্ত দায়রা জজ বীরেন্দ্র ভাট দীনেশ যাদব ওরফে মাইকেলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশে যোগ দেওয়া), ১৪৭ (দাঙ্গা বাধানো), ১৪৮ (মারণ অস্ত্রের ব্যবহার), ১৪৯, ৪৫৭ (বিনা অনুমতিতে ঘরে প্রবেশ), ৩৯২ (ডাকাতি), ৪৩৬(অগ্নিসংযোগ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। ২০২০ সালের ৮ জুন যাদবকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চলতি বছর ৩ অগস্ট তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়। এর পর নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বিচারের আবেদন জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোরি নামে ৭৩ বছর বয়সী এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০-র ৪ মার্চ গোকালপুরি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ একদল মানুষ বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও ডাকাতি করে এবং তারপরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দীনেশ যাদব ওরফে মাইকেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: UP Election 2022: গোরক্ষপুরে যোগীর বিরুদ্ধে প্রার্থী ভীম আর্মির চন্দ্রশেখর আজাদ
অভিযুক্তের আইনজীবী শিখা গর্গ আদালতে দাবি করেছিলেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনায় যুক্ত নয়। বিনা কারণে এই মামলায় তাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি বিচারক। দিল্লি দাঙ্গা সম্পর্কিত একটি মামলার প্রথম রায় এই বছরের জুলাই মাসে এসেছিল। তবে সেই সময় অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় দাঙ্গা এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে এক ব্যক্তি বেকসুর খালাস পেয়ে যান।
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একের পর এক দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। মোট ৪৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধক (এনপিআর)-এর বিরুদ্ধে কিছু মানুষের বিক্ষোভ চলছিল। এক বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্র বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য একটি চূড়ান্ত সময় সীমা দেন। এর পর উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।