নয়াদিল্লি: বাটার চিকেন এবং ডাল মাখানির আবিষ্কর্তা কে? জিভে জল আনা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দিল্লি হাইকোর্ট। মতিমহল এবং দরিয়াগঞ্জের রেস্তোরাঁর মধ্যে বিরোধ।
দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপন, ‘ইনভেন্টরস অফ বাটার চিকেন এন্ড ডাল মাখানি।’ এই ট্যাগলাইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা মতিমহল রেস্তোরাঁর। দরিয়াগঞ্জের রেস্তরাঁ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। লোকে মনে করছে, দরিয়াগঞ্জ ও মতিমহলের রেস্তোরাঁ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁর জবাব তলব আদালতে। কেন ওই ট্যাগ লাইনের অপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের শীতের দাপট, আগামী কয়েকদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকবে দক্ষিণবঙ্গ
বাদী ও বিবাদীর পক্ষ দুটি আদতে রেস্তোরাঁ চেন। দুই পক্ষই ওই দুই পদের আবিষ্কর্তা বলে দাবি। মতি মহলের দাবি, তাদের এক পূর্বসূরী প্রথম তন্দুরি থেকে চিকেন বানিয়েছিলেন। পরে বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কার করেন। অতীতে রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা যেত না। তাই বিশেষ ধরনের সস তৈরি করা হয়। যার সাহায্যে দিনের শেষে বেঁচে যাওয়া রান্না করা খাবার তাজা রাখা যেত। টমেটো, মাখন, ক্রিম এবং কিছু মসলার সাহায্যে বাটার সস তৈরি করা হয়। তার সাহায্যেই সংরক্ষিত রান্নাগুলি উপাদেয় থাকে।
কোনও মিথ্যা প্রচার করা হয়নি। ভিত্তিহীন অভিযোগে কোনও সারবাত্তাই নেই। প্রথম মতিমহল রেস্তোরাঁ আসলে দুই পক্ষের দুই পূর্বসুরি যৌথভাবে পেশোয়ারে তৈরি করেছিলেন। মৌখিকভাবে জানিয়েছে দারিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: