নয়াদিল্লি: করোনা (Coronavirus) মহামারির কারণে দেশের সিংহভাগ রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল৷ সেই সমস্ত রাজ্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বাজেট অধিবেশনে বড় ঘোষণা করলেন। সীতারমণ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির পরিকাঠামো খাতে খরচ মেটাতে ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে চায়। তার জন্য, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করবে সরকার৷
For 2022-23,allocation is Rs 1 lakh cr to assist the states in catalyzing overall investments in economy. These 50-yr interest-free loans are over&above normal borrowings allowed to states. It'll be used for PM Gati Shakti-related&other productive capital investments of states:FM pic.twitter.com/WEOgYrkz5U
— ANI (@ANI) February 1, 2022
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, ওই এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল থেকে ৫০ বছরের জন্য সুদমুক্ত ঋণ নিতে পারবে রাজ্যগুলি। একই সঙ্গে প্রতিবছর যে অর্থ রাজ্য সরকারকে ঋণ দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়, সেই বরাদ্দেও কোনও রকম পরিবর্তন হচ্ছে না৷ ফলে, ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল সম্পূর্ণ আলাদা৷ এরফলে, করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলি অনেক উপকৃত হবে৷
করোনাকালে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে বহু রাজ্যই মোদি নেতৃ্ত্বাধীন বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করে৷ আজকের বাজেটে ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল সেই সমালোচনায় রাশ টানতে পারবে বলে অনেকেই মনে করেন৷ নির্মলা সীতারমনের বাজেটকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছে বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতারা বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করলেও এই বাজেট নিয়ে তীব্র তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। একযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের দাবি, মধ্যবিত্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা এই বাজেট। কংগ্রেস সাংসদ টুইটে বাজেটকে, ‘মোদি সরকারের জিরো সাম বাজেট!’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন- PM Gati shakti: তিন বছরে ৪০০ বন্দে ভারত ট্রেন, ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘দেশে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ। ৩ কোটির বেশি মানুষ বেকার। এই বাজেটে তাঁদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এসব বিষয়ে বাজেটে কিছু বলা হয়নি। করোনাকালে ১.২ কোটি চাকুরীজীবী চাকরি হারিয়েছেন৷ কি করে ধার শোধ (কেন্দ্রের) করা হবে সেই বিষয়ে বাজেটে কোনো দিশা নেই। গ্রামের মানুষের জন্য ফার্ম ইনকাম, কোনও স্কিম নেই। নিম্ন বৃত্ত ও মিডিল ক্লাসের জন্য কোনও কথা নেই।’’