সোনারপুর: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) নির্দেশের পরই পদক্ষেপ। নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) স্কুলে ঢুকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু ঘটনার পর স্কুল খুললেও আতঙ্কের ছবি স্পষ্ট বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে। ৭০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা থাকলেও এদিন উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ৭০জন। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর সংখ্যা যেখানে ৫০ এর মত সেখানে এদিন মাত্র উপস্থিত হয়েছেন ১৭ জন। অধিকাংশ ক্লাসরুম ফাঁকা। মাত্র ১৪ জন শিক্ষক উপস্থিত। তাদের নিয়েই কোনও রকমে চলছে স্কুল।
শনিবার বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে (Narendrapur Balrampur MN Vidyamandir) হানা দেয় ৫০-৬০ জনের একটি দল। স্কুলেই হামলার ঘটনা ঘটে। স্কুলের টির্চাস রুমে ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকারদের মারধর করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা আক্রান্ত হন। ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং বেশ কিছু প্রভাবশালীর নামে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুল চললেও এদিন বিদ্যালয়ে আসেননি প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ। তার নামেও হামলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
আরও পড়ুন: একশো দিনের টাকা, ফের বড় আন্দোলনের হুমকি মমতার
অনেক ছাত্র-ছাত্রীই স্কুলে এসেও বাড়ি চলে গিয়েছেন। আক্রান্ত শিক্ষকরা থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি জেলার পুলিশ সুপার এবং শিক্ষা দপ্তরের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে হবে অথবা এই স্কুল থেকে অপসারিত করতে হবে। তবে স্কুলের এই হামলার ঘটনায় স্কুলের যে ক্ষতি হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন। সোমবার উপস্থিত শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা চান আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক তাদের স্কুল। ফাঁকা স্কুল মাঠ ক্লাসরুমের অধিকাংশ বেঞ্চ জানিয়ে দিচ্ছে এখনও কতটা আতঙ্কে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরের ঘটনায় আইসি নরেন্দ্রপুরকে বেলা তিনটেয় হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ। রাজ্যের আইনজীবীকেও পুলিশকে খবর দেওয়ায় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলাকারীদের পক্ষে সুমন দে জানান, প্রধান শিক্ষক তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহারের হুমকি। শিক্ষকদের পূর্ব পরিকল্পনা করে আক্রমণ করা হয়েছে। কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন, ডিআইকে স্কুলের পরিস্থিতি জানান হয়েছে। ২১ জানুয়ারি একটা মিটিং চলাকালীন প্রধান শিক্ষক দ্বারা প্রাণে মারার হুমকি। তাঁর মদতে স্থানীয় সমাজবিরোধীদের ২৭ জানুয়ারি স্কুলে হামলা চালায়। শিবনাথ চাটুই নামে এক শিক্ষককে প্রবল মারধর করা হয়েছে। এক শিক্ষিকাকেও মারধর। পুলিশকে জানানোর পরই গ্রেফতার করে তৃণমূলের ২ জনকে।
আরও অন্য খবর দেখুন