
বোলপুর: শান্তিনিকেতন (Shantiniketan ), এককথায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) হাতে তৈরি এই শহর। গর্বের পর্যটন শহরে ঢোকার মুখেই প্রধান রাস্তাগুলিতে খানাখন্দে ভরা। কোথাও আবার রাস্তা নাকি ডোবা বোঝাই যাচ্ছে না! এই নিয়ে নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে পথ চলতি মানুষকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল কাটমানি নিতেই ব্যস্ত, রাস্তা ঠিক করবে কী করে ? রাস্তা দ্রুত মেরামত হবে পাল্টা তৃণমূলের।
শান্তিনিকেতনকে সদ্য ইউনেস্কো (UNESCO) বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করেছে। সেই ঐতিহ্যের শহরের প্রবেশ এবং বাহির পথ খানাখন্দে ভরা। রাস্তা ! নাকি ডোবা ! বোঝার উপায় নেই। ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে অনবরত ঘটছে পথ দুর্ঘটনা।
কোথায় কোন রাস্তার কী অবস্থা?
বীরভূম মুর্শিদাবাদ দুই প্রতিবেশী জেলার প্রধান যোগাযোগের বোলপুর ঢোকার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বিশেষ করে বোলপুরের চিত্রা মোড় থেকে লালপুল সন্নিকট রাস্তা। রাস্তায় এক হাঁটু জল। একই অবস্থা রামপুরহাট থেকে বোলপুরে ঢোকার অন্যতম রাজগ্রাম রোড মকরমপুর প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা বেহালদশা।
আরও পড়ুন: কিছু পঞ্চায়েত এলাকা পুরসভায় আনার ভাবনা মেয়রের
পাশাপাশি বর্ধমান থেকে বীরভূমে অর্থাৎ বোলপুর শান্তিনিকেতনে আসার অন্যতম প্রধান রাস্তা সুরতেশ্বর থেকে শ্রীনিকেতন প্রায় বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা উপর বড় বড় গর্ত। ঝুঁকির পারাপার করতে হচ্ছে কলকাতা থেকে বর্ধমান হয়ে শান্তিনিকেতন আশা পর্যটক বা পথ চলতি মানুষদের। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথ চলতি মানুষদের দাবি, অবিলম্বে এ সমস্ত রাস্তা মেরামত করা হোক। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে আমাদের। লজ্জাবোধ করি হেরিটেজ শহরের বাসিন্দা আমরা। যে কোনও সরকারি প্রকল্পের কাজ পাওয়ার আগে তৃণমূলকে কাটমানি দিতে হয়। ঐতিহ্যের শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন নিয়ে বিজেপির বিস্ফোরক অভিযোগ। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, পাগলের মত বকছে বিজেপি নেতারা। বর্ষাকালে রাস্তা খারাপ হয়, বৃষ্টির জন্য। পুজোর আগে সমস্ত রাস্তা মেরামত হয়ে যাবে আশ্বাস তৃণমূলের।
আরও অন্য খবর দেখুন: