কলকাতা: রাজ্যের দেওয়া এখনও পর্যন্ত সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) বাতিল করল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha ) ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কমিশনের অধীনে রাজ্যকে নতুন আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে। নতুন ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা রাজ্য সরকার ১৯৯৩ সালের আইন মেনে তৈরির করার পর তা কার্যকর হবে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই রায় ঘোষণার পর থেকেই বাতিল হওয়া শংসাপত্র আর কোনও চাকরি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না। এর ফলে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দহে বলেন, এই রায় আমরা মানি না।
অনগ্রসর শ্রেণিভুক্তদের সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, সেটাই ওবিসি সার্টিফিকেট। আদালত জানায়, ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। এই নির্দেশের ফলে বাতিল হল প্রায় পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। ২০১০ আগের নথিভুক্ত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বহাল থাকল। ২০১০ সালের পরবর্তী সমস্ত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বাতিল করে আদালত। ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি। তাই বাতিল করা হল বলে আদালত জানিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে যাঁরা ইতিমধ্যে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন এই রায় তাঁদের উপর প্রভাব ফেলবে না। এতদিন যাঁরা ওবিসি সংরক্ষণে চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই চাকরি পাবেন পুরনো সংরক্ষণ তালিকা অনুযায়ী। আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, নতুন করে সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বলে, এরপর কারা ওবিসি হবেন তা রাজ্যের বিধানসভাকে ঠিক করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনকে ওবিসিদের তালিকা নির্ধারণ করতে হবে। সেই তালিকা রাজ্যের আইনসভা বা বিধানসভাকে পাঠাতে হবে। যাঁদের নাম বিধানসভা অনুমোদন দেবে পরবর্তী সময় তাঁরাই ওবিসি বলে গণ্য হবেন।
অন্য খবর দেখুন