skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
HomeScrollসন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, স্থানীয় নেতা গঙ্গাধরকে পুলিশের নোটিস
Sandeshkhali Viral Video

সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, স্থানীয় নেতা গঙ্গাধরকে পুলিশের নোটিস

নির্যাতিতাদের গলায় এখন উল্টো সুর, বিপাকে বিজেপি

Follow Us :

কলকাতা: সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও (Sandeshkhali viral video) কাণ্ডে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল (BJP leader Gangadhar Kayal)এবং বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের (Rekha Patra) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। একের পর এক ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। যদিও তারাও এর পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত দেখছেন।

শনিবারের পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার আরও দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তার একটিতে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা দাবি করেন, রাষ্ট্রপতির কাছে কিছু মহিলাকে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি। অন্য এক ভাইরাল ভিডিওতে মহিলাদের একাংশই দাবি করে, তাদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছিল। সেই অভিযোগ তুলতে চাইলে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। এবার সেই বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে ডেকে পাঠাল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সন্দেশখালির নির্যাতিতারা অত্যাচারের অভিযোগ তুলে গলা ফাটিয়ে ছিলেন। আজ সেই নির্যাতিতাদের গলায় এখন উল্টো সুর। তাতে বিপাকে পড়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসকে তলব থানায়

সন্দেশখালিতে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। সেই ভিডিও-য় তিন মহিলার দাবি, ধর্ষণ-সহ যে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে তা সাজানো। গঙ্গাধরকে ওই ভিডিওতে এক মহিলার নাম করে বলতে শোনা যায়, তাঁকে আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে সাত-আট মাস আগে গণধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। যাতে মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণ না প্রমাণিত হয়। এমনকী জাতীয় মহিলা কমিশন যেদিন সন্দেশখালিতে গিয়েছিল ওই দিন এক বিজেপি নেত্রী তাঁদের মিথ্যা অভিযোগ করতে বলেছিলেন বলেও দাবি তাঁদের। সাদা কাগজে তাঁদের দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর গঙ্গাধর কয়ালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীদের একাংশ। সন্দেশখালির মাঝেরপাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, গঙ্গাধরকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। যদিও বিজেপি ভিডিওটিকে ভুয়ো এবং বিকৃত বলে দাবি করেছে। সিবিআই তদন্ত চেয়েছে তারা। বাংলার প্রচারে এসে বার বার সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। একাধিক নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা ও অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, বিজেপির সব চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। এই বিজেপি কতটা কুৎসিত রাজ্যবাসীর সামনে প্রকাশ হয়েছে।

অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular