শিমুরালি: প্রতি বছরই আতসবাজির সঙ্গে দীপাবলীতে হিড়িক পড়ে এলইডি আলো (LED Lights) কেনার। এলইডি লাইট এবং টুনি লাইটের ( Twin Lights ) যুগে বাত্য মাটির প্রদীপ (Soil lamps)। সে রকম চাহিদা নেই। ফলে বেশির ভাগ পালবাড়িতে নিজস্ব পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যবসার দিকে। জ্বালানী,মাটির দাম অত্যাধিক। জ্বালানীর দাম বেশির হওয়ার সত্ত্বেও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মাটি ঠিক মতো পাওয়া যায় না যাও বা পাওয়া যায় দাম আকাশ ছোঁয়া। এরপর আছে বিদ্যুতের বিল। আগেকার মতোন চাক নেই তার ফলে মোটরের মাধ্যমে চাক তৈরি করে প্রদীপ সহ অন্যান্য জিনিস তৈরি করতে প্রচুর বিদ্যুতের বিল বহন করতে হচ্ছে। মাটির প্রদীপ একশো টাকা শো খুচরো। পাইকারি আরও কম ফলে নিজের মজুরী পযর্ন্ত উঠছে না।
দীপাবলির আগে পসরা সাজিয়ে বসেছেন এলইডি লাইট বিক্রেতারা। পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের বিভিন্ন রকম টুনি বাল্ব ছাড়াও এলইডি লাইট চেন, ডিস্কো লাইট, ফ্লাশ বাল্ব, ইউএফও, পদ্মফুলের আলো। রয়েছে এলইডি আলোয় প্রদীপ, মোমবাতি। নতুন ধরনের এই আলো মানুষ ভিড় করে কিনছেনও। সাধারণ মানুষ এলইডি আলো কিনতে ভিড় করছেন, তখন পিছিয়ে নেই কুমোরটুলিতে প্রদীপ বা জানবাজারে মোমবাতি বিক্রেতারাও। শহরের বড় বড় বাজার গুলিতে বিকোচ্ছে মাটির কমমারির প্রদীপ, নানা ধরনের মোমবাতিও। কিন্তু প্রদীপের চাহিদা কমলেও বংশ পরম্পরায় অনেকেই এই কাজকে ধরে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্যে নারাজ বোস
প্রতি বছর কলকাতার চাঁদনি চক মার্কেট, নিউ মার্কেট, বড় বাজার সহ শহরের ছোট ও বড় বাজার গুলিতে
চাঁদুড়িয়া,শিমুরালি,রাউতারি,মদনপুর এক নম্বর এবং মদনপুর দুই জিপির অনেকেই বাপ ঠাকুরদার পৈতৃক ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসায় চলে গেছে।চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির মধ্য চাঁদুড়িয়ার শ্যামাপদ পাল বলেন, টুনি লাইটের সঙ্গে ব্যবসা করে পারবো না। তাছাড়া সমস্ত জিনিসের যে হারে দাম বেড়েছে আমরা খেটেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছিনা। কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। আগের যেমন মাটির ভার তৈরি করতাম চাহিদা ছিল কিন্ত কাগজের কাপ হয়ে যাবার পর আর সে রকম চাহিদা নেই।সরকার যদি একটু নজর দিতো আমাদের দিকে, তাহলে এই ব্যবসা নষ্ঠ হতো না।আগের মানুষ চতুর্দশীতে মাটির প্রদীপ দিতো আজ সব অতিত।সেই জায়গায় টুনি ও এলেডি আলো জ্বালাচ্ছে।
আরও অন্য খবর দেখুন