মুম্বই: স্রেফ একটা দিনের অপেক্ষা ছিল। সেই দিনটা আজ, বৃহস্পতিবার হতে পারত। শ্রীলঙ্কার Sri Lanka) বিরুদ্ধে ওডিআই কেরিয়ারের ৪৯তম শতরান করে শচীন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) ছুঁতে পারতেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ১২ রানের জন্য মহাযোগ হয়েও হল না। যে দেশের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরি ছিল সেই লঙ্কানরাই প্রতিপক্ষ। কোন মাঠ? ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম (Wankhede Stadium) যা শচীনের ঘরের মাঠ। ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। গতকালই ওয়াংখেড়েতে তাঁর মূর্তি উন্মোচিত হয়েছে। আজ সেই মূর্তিতে মাল্যদানের মতো হতে পারত কোহলির সেঞ্চুরি। কিছুই হল না।
শুরুতে বল সিমে পড়ে মুভ করছিল। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) দ্রুত ফিরে যাওয়ায় ক্রিজে আসেন কোহলি। বেশ কয়েকবার বিট হন। দু’বার আউট হতে হতে বেঁচে যান। একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর আর তরতর করে এগোতে থাকেন। উল্টোদিকে শুভমন গিল (Shubman Gill) সামান্য স্লো খেলছিলেন, কারণ তাঁর ফর্মে ফেরার তাগিদ ছিল। কিন্তু কোহলি খাঁটি ওয়ান ডে ইনিংস খেলছিলেন। স্ট্রাইক রেট সবসময় ১০০-র গায়ে গায়ে ছিল। দিলশান মধুশঙ্কার বল পিচে পড়ে থমকে গেল। কোহলি কভারে খেলতে গিয়ে পাথুম নিশঙ্কর হাতে তুলে দিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথমে ব্যাট ভারতের, জেনে নিন প্রথম এগারো
কোহলিকে নিয়ে মনখারাপের দিনে ভারতের পক্ষে সুখবর গিলের ফর্মে ফেরা। অবশ্য তিনিও শতরান ফেলে এলেন। ৯২ রানে আউট হয়ে বিশ্বকাপের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি খোয়ালেন। অসুবিধা নেই, ফর্মে এসেছেন যখন সেঞ্চুরি আসবে শিগগিরই।
নজর ছিল প্রথম একাদশের দিকে। জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) আর মহম্মদ শামি (Mohammad Shami) দুরন্ত ফর্মে থাকলেও মহম্মদ সিরাজ ঠিক সুবিধা করতে পারছেন না। আজ তাঁর জায়গায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) কিংবা শার্দূল ঠাকুরকে (Shardul Thakur) খেলানো হয় কি না সেটাই ছিল দেখার। টিম ম্যানেজমেন্ট সেই সিরাজেই ভরসা রাখল। অর্থাৎ তিনজন জেনুইন পেসার এবং দুই স্পিনার খেলানো হল।