মালদহ: ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Maldah ICDS Center) বেহাল দশার ছবি ধরা পড়ল কলকাতা টিভির পর্দায়। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিয়ালডাঙি গ্রামের (Shialdanga Gram Panchayat) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (Anganwadi Centre) কার্যত বেহাল দশায় ধুঁকছে। খাবারে বেনিয়মের অভিযোগে পচা ডিম এবং শুকনো ভাত রাস্তায় ফেলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরেই খাবারে বেনিয়ম হচ্ছে এই কেন্দ্রে। নিয়ম মেনে তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হয় না খাবার। এমনকি পঁচা সবজি এবং ডিম দেওয়ার অভিযোগ।ওই কেন্দ্রে রান্নাও হয় না। নিজের বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। খোলা আকাশের নিচেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে সেন্টার। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে অভিভাবকরা অভিযোগ করলেও তিনি কর্ণপাত করেন নি। সোমবারও নিম্নমানের খাবার দিতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস সিডিপিওর। তিনি বলেন,সুপারভাইজারকে পরিদর্শন করতে পাঠিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিয়ালডাঙি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কার্যত বেহাল দশা। ওই সেন্টারে নেই কোনও ভবন। খোলা আকাশের নীচেই চলে সেন্টার। অভিভাবকদের অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে না খাবার। বেশির ভাগ দিন দেওয়া হয় শুকনো ভাত আর পচা ডিম। খিচুড়ি বা সবজি দেওয়া হলেও তাও নিম্নমানের। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আকলেমা খাতুনকে অভিযোগ করলে তিনি কর্ণপাত করেন না। উল্টে দুর্ব্যবহার করেন অভিভাবকদের সঙ্গে। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কোনও ভবন না থাকায় বাড়ি থেকেই রান্না করে আনেন রাঁধুনি। সোমবার সেন্টারে বাচ্চাদের শুধু শুকনো ভাত এবং ডিম দেওয়া হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ সেই ডিমও পচা। তারপরেই কর্মী আকলেমা খাতুনকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। রাস্তায় শুকনো ভাত এবং ডিম ফেলে চলতে থাকে বিক্ষোভ। প্রায় ঘন্টাখানেক বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন সন্দেশখালির মহিলারা
অভিভাবকদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী সঠিক খাবার দিতে হবে। নিম্নমানের এই খাবার খেলে শিশু এবং প্রশুতিরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এদিকে জানা গিয়েছে স্থানীয় এক বাসিন্দার জমিতে পাঁচ বছর আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জমিদাতা চাকরি পাননি। তাই পরবর্তীতে তিনি সেই ভবন তালা বন্ধ করে দেন। তারপর থেকেই খোলা আকাশের নিচে চলছে সেন্টার। এদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কর্মী অকলেমা খাতুন। তার সাফাই এদিন রাঁধুনি অসুস্থ থাকায় শুধু শুকনো ভাত এবং ডিম দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সিডিপিও আব্দুল সাত্তার জানিয়েছেন,’ সুপারভাইজারকে পরিদর্শন করতে পাঠিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্য খবর দেখুন