সন্দেশখালি: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। কেরল সফর সংক্ষিপ্ত করে সোমবার সকালেই রাজ্যপাল বাংলায় ফিরে আসেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা তিনি সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) চলে যান। পথে তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখান। দুএকটি জায়গায় তাঁর গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখায় জনতা। পরে পুলিশ অবশ্য রাজ্যপালের গাড়ি বার করে দেয়।
সন্দেশখালি পৌঁছে রাজ্যপাল স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। বহু মহিলা তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরেন বোসের কাছে। কীভাবে মাসের পর মাস উত্তম, শিবুরা মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন, তাও জানান ভুক্তভোগীরা। মহিলারা বলেন, রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আপনি চলে যাওয়ার পর ফের তৃণমূল বাহিনী আমাদের উপর অত্যাচার চালাবে। রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমি কড়া পদক্ষেপ করব। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব। কোনও অপরাধী ছাড় পাবে না।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল
শনিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজভবনে গিয়েছিলেন দলের বিধায়কদের নিয়ে। রাজ্যপাল তখন ছিলেন না। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপাল রাজ্যের বাইরে। তাঁর সচিবালয়কে জানিয়ে গেলাম, ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। রাজ্যপাল দ্রুত ফিরে এসে সন্দেশখালি যান। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করুন। ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করুন। না হলে সোমবার থেকে আমরা বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে ধরনা দেব। শুভেন্দুর হুমকির পরই বোস কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবার সকালে্ ফিরে আসেন। বিমানবন্দর থেকেই তিনি সন্দেশখালি চলে যান। শনিবার রাতে রাজ্যপাল নবান্নের শীর্ষকর্তাদের ফোন করে সন্দেশখালি নিয়ে জানতে চান। সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তাও জানতে চান রাজ্যপাল।
এদিকে আরামবাগ যাওয়ার পথে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে। রাজ্যপালের সফর সম্পর্কে মমতা বলেন, সকলের সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমিও তো রাজ্য মহিলা কমিশনকে পাঠিয়েছি। তারা আমাকে রিপোর্ট দিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন