পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকের সভায় সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ভাষণে উঠে এল নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভোট গণনার মামলা প্রসঙ্গ। এদিন প্রশাসনিক সভায় তিনি বলেন, মামলা চলছে আড়াই বছর হয়ে গেল। কী হয়েছে না হয়েছে, মানুষ এর জবাব একদিন দেবেই।
২০২১ সালের ২ মার্চ নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটে গণনায় লোডশেডিং করে কারচুপি করা হয়েছিল বলে শাসকদলের অভিযোগ। ওই ভোটে মমতা ১১৫৬ ভোটে হেরে যান শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari ) কাছে। পরে মমতা গণনা নিয়ে মামলা করেন। সেই মামলাই এখনও চলছে। এদিন ওই মামলা ছাড়াও শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে নাম না করে শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, গায়ের জোরে কাউকে খুন করে, টাকা লুঠ করে, নিজে বেআইনিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে অন্যদের চোর বলে। চোরের মায়ের বড় গলা। আপনারা কখনও বাসে ট্রামে পকেটমার দেখেছেন? পকেটমার পকেট মেরে প্রথমে পকেটমার পকেটমার বলে চেঁচায়। অন্যরা হইচই জুড়লে সে পালায়। এই গদ্দার টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে তমলুকে অনেককে। আবার সেই গলাবাজি করছে।
আরও পড়ুন: ডিএম, এসপিদের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সাপ্তাহিক বৈঠকের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
মমতা বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়োগ নিয়ে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। কার জন্য হয়েছে, আমি সব খবর রাখি। এতদিন ব্যবস্থা নিইনি বলে কখনও নেব না, এটা যেন কেউ না ভাবে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতাকে গদ্দার বলেই সব সময় সম্বোধন করে থাকেন।
বিধানসভার বাদল অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের ভোট গণনার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, নন্দীগ্রামে দুই ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে কী হয়েছিল, সব ভুলে গেলেন। তারপরই শুভেন্দু সতীর্থদের নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান। পরে লবিতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আমি বিধানসভায় নন্দীগ্রামবাসীকে অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্পিকার বিচারাধীন বিষয় বলে আমাকে কথা বলতে দেননি। এদিন শুভেন্দু বলেন, সাহস থাকলে উনি নাম বলুন। আমার কাছে হেরে গিয়ে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন উনি। সেই রাগ উনি ভুলতে পারছেন না। এদিনের সভায় যথারীতি কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য খবর দেখুন