জলপাইগুড়ি: নির্বাচন কমিশনের (National Election Commission) আচরণ বিধি (Model Code of Conduct) থোড়াই কেয়ার। কাগজ কলমে নির্দেশ থাকলেও রাজ্যের শাসক দলের বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার জ্বলজল করছে শহরে ! যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে যারা কাজ করছেন অধিকাংশের তৃণমূল দলের কর্মী। বিরোধীদের পোস্টার ব্যানার খোলা হলেও শাসকদলের পোস্টার ব্যানারে হাত দিচ্ছে না এমসিসির কর্মীরা এমই অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ বিরোধী দলগুলির সমস্ত ব্যানার-পোস্টার সরানো হলেও বানারহাট, গয়েরকাটায় জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি সম্বলিত শাসকদলের বিশাল বিশাল হোর্ডিং।
নির্বাচন ঘোষণা হতেই জারি হয়েছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি। নির্দেশ রয়েছে, নির্বাচন ঘোষণা হবার পরই দেশের সমস্ত সরকারি বা বেসরকারি জায়গায় কোনও রাজনৈতিক দলই ব্যবহার করতে পারবে না নিজেদের ব্যানার, পোস্টার, প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। এমনকি সরকার সাধারণ জনগণের জন্য কী কাজ করেছে তাও ফলাও করে টাঙিয়ে রাখতে পারবে না কোথাও। নির্বাচন ঘোষণার পরও যদি কোথাও ব্যানার পোস্টার টাঙ্গানো থাকে তবে সেই পোস্টার বা ব্যানার ইলেকশন কমিশনের হয়ে কাজ করা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা খুলে দেবেন তৎক্ষণাৎ। গায়েরকাটা জুড়ে সিপিএম, বিজেপি বা অন্য কোনও দলের ব্যানার না থাকলেও একেবারে জাতীয় সড়কের ধারে বিভিন্ন ভরা বাজার এলাকায় জ্বলজ্বল করছে শাসক দলের অতিকায় আকারের ব্যানার। বিরোধীরা অভিযোগ করে বলছেন, সারা বছর রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করা কর্মচারীরাই আজ ইলেকশন ডিউটি করছেন। তাই তারা অন্য দলের ব্যানার পোস্টার খুলে দিতে দেরি না করলেও রাজ্য সরকারের ব্যানারে হাত দিতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের আরও অভিযোগ, গোপনভাবে চাপ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে এই কর্মচারীদের ওপর যাতে তারা শাসক দলের কোনও ব্যানার পোস্টার না খুলতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রচারে নামলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ
আরও খবর দেখুন