কলকাতা: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) বিজ্ঞপ্তি না প্রকাশ হলেও দামামা কিন্তু বেজে গিয়েছে। তার মধ্যেই দুদিনের সফরে আগামিকাল শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুদিনই আরামবাগ এবং কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে দিল্লি থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি যাবেন ঝাড়খণ্ডে। ওই রাজ্যে মোদির সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। তা সেরে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আরামবাগে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগেও কিছু সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। পরে তিনি দলের জনসভায় ভাষণ দেবেন। সেই সভা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় ফিরবেন। রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেখানে শহরের কিছু বিশিষ্টজন এবং রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মোদির।
পরের দিন শনিবারও সকাল থেকেই ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর৷ রাজভবন থেকে তিনি যাবেন কৃষ্ণনগরে। সেখানে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে রয়েছে মোদির রাজনৈতিক সভা। সেখানেও কিছু সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই সভা সেরে পানাগড় হয়ে তিনি চলে যাবেন বিহারের গয়ায়।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৩)
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের পরেই ছবছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড শেখ শাহজাহান
৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ফের আসবেন বঙ্গে (West Bengal)। বারাসত কাছারি ময়দানে বিজেপির সভায় ভাষণ দেবেন তিনি। দলের রাজ্য নেতৃত্ব সেই সভায় সন্দেশখালির নির্যাতিত মহিলাদের হাজির করাতে চান প্রধানমন্ত্রীর সামনে।
বাংলা থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি, তখন এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার বঙ্গ সফর করবেন নরেন্দ্র মোদি। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। কৃষ্ণনগরে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এবং বারাসতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার অবশ্য ভালো ব্যবধানেই জেতেন। মহুয়া অবশ্য এখন বহিষ্কৃত সাংসদ। তিন মহিলা সাংসদের কেন্দ্রে মোদির সভা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। মহুয়া এবং অপরূপা তাঁদের এক্স হ্যান্ডেলে তা নিয়ে ব্যঙ্গও করেন। সন্দেশখালিকে ঘিরে বাংলায় যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে রাজ্যের শাসকদল কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। এই আবহে মোদির সফর রাজ্য বিজেপিকে কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্য খবর দেখুন