জলপাইগুড়ি: নদীবাঁধ (River Dam) নির্মাণের সামগ্রিক গুণগতমান নিয়ে উঠল প্রশ্ন। তার প্রতিবাদে আন্দোলনে মাগুরমারী দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। নদী ভাঙন কবলিত ধূপগুড়ির মাগুরমারী (Dhupguri Magurmari) ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিঘের পর বিঘে জমি ইতিমধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। জমি বাঁচানোর জন্য শুরু হয়েছিল আন্দোলন। যার ফলস্বরূপ শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। কিন্তু অভিযোগ, ভাঙন রুখতে যে সামগ্রী দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা দরকার তার গুণগতমান খুবই খারাপ। তা বুধবার আবারও আন্দোলনে নামেন মাগুরমারী দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।
দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল শক্তপোক্ত একটি বাঁধ নির্মাণের। জলঢাকা নদী (Jaldhaka River) ভাঙন রুখতে বাড়ে বারেই আবেদন জানিয়েছিলেন মাগুরমারী দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। হয়েছে আন্দোলনও। বাসিন্দাদের আন্দোলনের জেরে অবশেষে শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। কিন্তু সেই কাজেও হচ্ছে গাফিলতির অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, খরস্রোতা জলঢাকা নদীতে যতটা বড় আকারের এবং ওজনের পাথর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা উচিত ছিল সেই রকম করা হচ্ছে না। আর এই নিয়ে বুধবার রীতিমতো আন্দোলনে নামেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: হুগলিতেই দিদি নম্বর ওয়ানের শ্যুটিং! রচনার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ লকেটের
কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। অভিযোগ, টাকা লুটেপুটে খাওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা দিয়ে বাঁধ হচ্ছে। যার জন্য এইরকম পরিস্থিতি। পাল্টা বক্তব্য তৃণমূলের, ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে সেচ মন্ত্রী এই এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। তারপর কাজ শুরু হয়। যদি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কাজ হয় সেটা সেচ দফতরকে দেখার অনুরোধ করা হবে। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নতুন করে বাঁধ নির্মাণের কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
অন্য খবর দেখুন
