কলকাতা: কালীপুজোর আগে বাজি কিনতে বাজারে ভিড় জমিয়েছে কচিকাচা থেকে কাকা জ্যাঠারা। দীপাবলীতে আগেই শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। টালা পার্ক, শহীদ মিনার, বেহালা ও কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে বসেছে বাজিবাজার। নকল বাজি রুখতে বাজি বাজারগুলিতেও চলছে নজরদারি। পরীক্ষিত সবুজ বাজির (Green Crackers) প্যাকেটে থাকছে কিউআর কোড (QR Code)।
সবুজ বাজির প্যাকেটে থাকা কিউআর কোড থেকেই বাজির বৈধতা যাচাই করতে পারবেন ক্রেতারা। গ্রিন বাজির চাহিদা এখন তুঙ্গে গোটা রাজ্যেই। সবুজ বাজি আসলেই আসল কিনা তা জানতে রয়েছে বাজি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা নিরির অ্যাপ। এই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই বেরিয়ে আসবে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি আসল পরিচয়। অভিযোগ উঠেছে, কোডকে ব্যবহার করেই পাতা হচ্ছে প্রতারণার ফাঁদ। অবৈধ বাজির অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় রাখা হয়েছে নাকা চেকিং। অন্যদিকে প্রশাসন, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ( নিরি)র সদস্যরা বাজি বাজার পরিদর্শন করে গিয়েছেন। বেশকিছু নকল সবুজ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১০০ বছর, নৈহাটির বড়মার পুজোয় কী কী অভিনবত্ব
২০১৯ এর পর এ বছর শহীদ মিনারে বসেছে বাজি বাজার। চোখ ধাঁধানো বাজির মধ্যে রয়েছে বাটারফ্লাই কালার রান, টাইনি গান, ম্যাজিক ট্রি ও ক্র্যাকলিং কিং। এবছরই বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। ফলে বেশকিছু নতুন সবুজ বাজি এ বছর বাজি বাজারে সংযোজিত হয়েছে। প্রথাগত চড়কি, ফুলঝুরি, রং মশাল এর বাইরে বাহারি বাজির দিকেই চোখ খুদেদের। তাই বুধবার থেকে শুরু হওয়া শহীদ মিনারের বাজি বাজারে বিভিন্ন বয়সী ক্রেতাদের ভিড় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও অন্য খবর দেখুন