Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScroll'ধ্রুব' লক্ষ্যে সফল 'জুরেল'! ভারতের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি
Dhruv Jurel

‘ধ্রুব’ লক্ষ্যে সফল ‘জুরেল’! ভারতের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি

Follow Us :

জয়জ্যোতি ঘোষ, রাঁচি

নিম চাঁদ- ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় সৈনিক। সীমান্তে লড়াই করার স্পর্ধা বা সাহস সবার থাকে না। মৃত্যু ভয়কে নস্যাৎ করে ভারত মাতার সেবায় উৎসর্গ প্রান। আর এই নিম চাঁদের রক্ত বইছে তাঁর ছেলের মধ্যেও। তাঁর ছেলে আর কেউ নন, ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের (India-England 4th Test) অন্যতম নায়ক ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel)। তিনিও লড়ছেন দেশের হয়ে। হয়ত সীমান্তে নয়, ক্রিকেটীয় সবুজ গালিচায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রাইসিস মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন। পরিচয় দিলেন তাঁর লৌহ কঠিন বেপরোয়া মানসিকতার। অর্ধশতরানের পর বাবাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর ‘স্যালুট সেলিব্রেশন’ মন কেড়ে নিল। ক্রিকেটীয় রোমান্স ছাড়িয়ে যেন নিমেষে ফুটে উঠল জীবনের রোমান্স! সাক্ষী থাকল রাঁচির জেএসসিএ স্টেডিয়াম (JSCA Stadium, Ranchi)।

ম্যাচ শেষে ধ্রুব জুরেল বললেন, ‘স্যালুট সেলিব্রেশনটা বাবার উদ্দেশে ছিল। প্রথম টেস্ট শতরান হাতছাড়া হয়েছে বলে খুব একটা আফসোস নেই। আমি চাই ভারত ম্যাচ জিতুক, সঙ্গে সিরিজও। এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই। সিরিজ জয়ের পর ট্রফিটা হাত দিয়ে ছুঁতে চাই।'(হাসি)

প্রেসবক্সে কিছুক্ষণের জন্য পাশে বসা সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar) ভি-শট খেলার স্টাইলে বলে গেলেন, ‘টেম্পেরামেন্ট দেখুন ছেলেটার, লিখে রাখুন পরবর্তী এমএসডি হতে চলেছেন এই ধ্রুব জুরেল।’ তাহলে কি ধোনির শহরে নতুন ধোনির জন্ম? উত্তর অবশ্যই সময় দেবে। স্বয়ং ধোনি যদিও স্টেডিয়ামে বসে জুরেলের ব্যাটিং দেখতে পারলেন না। বিজ্ঞাপনের কাজে এই মুহূর্তে মুম্বইতে মাহি।

এই ম্যাচে আরেকজনের কথা বলতেই হবে- তিনি হচ্ছেন কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন সেটা তো আছেই। কিন্তু এই ম্যাচে ব্যাটার কুলদীপের অবদানও কোনও অংশে কম নয়। ক্রিজে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে অনবরত সঙ্গ দিয়ে গিয়েছেন ধ্রুব জুরেলকে। তাঁদের দু’জনের মধ্যে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ না হলে হয়ত ম্যাচের রঙ বদলে যেত। দীর্ঘ সময় দাঁতে দাঁত কামড়ে কুলদীপের ক্রিজে টিকে থাকার লড়াইকেও স্যালুট!

যত বয়স বাড়ছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) যেন আরও ধারালো হচ্ছেন। আরও একবার ৫ উইকেট! এটা কেরিয়ারের ৩৫তম। ভারতের মাটিতে উইকেট নেওয়ার নিরিখে ছাপিয়ে গেলেন অনিল কুম্বলেকে। কুম্বলের যেখানে ৩৫০ উইকেট, অশ্বিনের বর্তমান উইকেট সংখ্যা ৩৫৪। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অশ্বিন বললেন, ‘কুলদীপ দারুণ বোলিং করেছেন। আমি ৫ উইকেট নিয়েছি ঠিকই, কিন্তু ফাইফারের জন্য এই ম্যাচে ও যোগ্য ছিল। কুলদীপকে পরে বলিও সেটা। শুধু বোলার হিসেবে নন, ব্যাটার কুলদীপও ভারতীয় ড্রেসিংরুমকে শান্ত রেখেছেন এই টেস্টে।’

তবে এরকম জমজমাট টেস্টের মাঝেও কিছু বিতর্ক থেকেই গিয়েছে। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জেএসসিএ স্টেডিয়ামে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই প্রশাসক অমিতাভ চৌধুরী। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ভারতের জিম্বাবোয়ে ( সৌরভ-চ্যাপেলে অধ্যায়)সফরে ভারতীয় দলের ম্যানেজারও ছিলেন। তাঁর নামে ‘অমিতাভ চৌধুরী প্যাভিলিয়ন’ বলে পৃথক স্ট্যান্ডও রয়েছে এই জেএসসিএ স্টেডিয়ামে। কিন্তু ২০২২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট প্রশাসনের সমীকরণ বদলে যায়। সমীকরণ এতটাই বদলায় যে টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট কিনতে হয় প্রয়াত প্রশাসক অমিতাভ চৌধুরির ছেলে অভিষেক চৌধুরীকে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রকসলিড ডিফেন্স এখানকার বর্তমান ক্রিকেট প্রশাসকদের।

শেষে একটা কথাই বলার- ৭০- দশকের ভিলেন অজিতেকে মনে আছে? তাঁকে অনুকরণ করে এদিন বিকেল থেকে রাঁচির অলিতে-গলিতে একটা ডায়লগ ভাইরাল!
‘মো-না- ডা-র্লিং….কাল ম্যাচ কিতনে বাজে খতম হোগা…লাঞ্চ সে পেহলে-ইয়া লাঞ্চকে বাদ….?’

RELATED ARTICLES

Most Popular