কলকাতা: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে আগামিকাল মঙ্গলবার বসিরহাটের (Basirhat) কালীপুরে বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের ( Trinamool) জেলা নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনার মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick), জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং অন্য নেতারা। আগামী রবিবার সন্দেশখালিতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে গত কয়েক দিন ধরে গোলমাল চললেও শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব ওইমুখো হননি। তা নিয়ে স্থানীয় নেতারাও ক্ষুব্ধ। দলেরই একটি অংশের মতে, সন্দেশখালির যা অবস্থা, তাতে জেলার নেতারা গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন। সেই ভয়েই তাঁরা সন্দেশখালির ধার মাড়াচ্ছেন না।
শিবু হাজরা, শেখ শাহজাহানদের নাগালে পেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, তার আঁচ পাচ্ছেন জেলার নেতারা। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এই কারণে পরিকল্পনা করেই উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করানো হয়েছে। গত বুধবার তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম জনরোষের মুখে পড়েছিলেন। সেদিন পুলিশ তাঁকে উদ্ধার না করলে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারত। গত চারদিন ধরে মহিলাদের মারমুখী মেজাজই বুঝিয়ে দিয়েছে, পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। সেটা টের পেয়েই জেলা নেতৃত্ব তড়িঘড়ি উত্তমকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি পদে ৫ লক্ষ নিয়োগ, আরামবাগে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
তবে উত্তমকে সাসপেন্ড করা নিয়ে দলের অন্দরেও প্রশ্ন রয়েছে। উত্তমের কীর্তি দলের নেতাদের অজানা নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতা বলেন, উত্তম, শিবুর বিরুদ্ধে আগে একাধিকবার নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব হাত গুটিয়ে বসে থেকেছেন। এখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে তাঁরা নড়েচড়ে বসেছেন।
অন্য খবর দেখুন