বীরভূম: কেষ্টহীন বীরভূমে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণূমূল। বীরভূম থেকে চতুর্থবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন শতাব্দী রায়। বোলপুরেও তৃণমূলের অসিত মাল ফের জয়ী হয়েছেন। কেষ্ট তথা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ছাড়াই যে বীরভূমে দলের ভালো ফল হতে পারে, তা পঞ্চায়েত ভোটের পর আবারও প্রমাণিত হল। বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং কেষ্টর ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখ এই জয়ের কৃতিত্ব দিতে চান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishik Banerjee)।
প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল, কেষ্ট জেলবন্দি। তবু দলনেত্রী তাঁকেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে রেখে দিয়েছেন। নির্বাচনী সভায় বোলপুরে গিয়ে মমতা বলেছিলেন, বেচারি কেষ্টকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। ভোটের জন্যই ওকে আটকে রাখা হয়েছে। দেখবেন, ভোটের পর কেষ্টকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ওই কথা বলে নেত্রী বুঝিয়ে দেন, তাঁর আশীর্বাদের হাত এখনও কেষ্টর মাথার উপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: অশান্ত টিটাগড়, চলল গুলি ও বোমা
বীরভূমে সংগঠন চালানোরে জন্য কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পর জেলায় একটি কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা। সেই কমিটিতে প্রথমে কাজলকে (Kajal Sheikh) রাখা হয়নি। পরে তাকে কমিটিতে ঢোকানো হয়। আবার সেই কমিটিতে ঢুকে তিনি অতিসক্রিয় হয়ে্ ওঠেন। নেত্রী কালীঘাটের দলীয় সভায় তার জন্য কাজলকে ধমকও দেন। তিনি তাঁকে জেলা পরিষদ নিয়েই থাকতে বলেন। বীরভূমের রাজনীতিতে কেষ্টর সঙ্গে কাজলের বিরোধ বহুলচর্চিত। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। ।যদিও কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর কাজলকে বলতে শোনা গিয়েছে, অনুব্রত আমার গুরু।
ভোটের আগে নির্বাচনী সভা করতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, লিড দিতে না পারলে নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার কাজল (Kajal Sheikh) বলেন, বীরভূমে বেশ কিছু পুরসভা, পঞ্চায়েত এলাকায় মাইনাস হয়েছে তৃণমূল। আমিও চাই যাঁরা লিড দিতে পারেননি তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তিনি বলেন, অনেক নেতা সরকারের উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরতে পারেননি। তাঁদেরও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
অন্য খবর দেখুন