skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
HomeScrollফের উত্তাল সন্দেশখালি, বিক্ষোভে মুখে গামছা বাঁধা এরা কারা?
Sandeshkhali Incidenrt

ফের উত্তাল সন্দেশখালি, বিক্ষোভে মুখে গামছা বাঁধা এরা কারা?

দিনভর গোলমাল, গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে পুলিশের রাস্তা অবরোধ

Follow Us :

সন্দেশখালি: রাজ্যের হটস্পট এখন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incidenrt)। শুক্রবার সকাল থেকে আবারও উত্তাল বেড়মজুর, কাঠপোল প্রভৃতি এলাকা।  তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থান সন্দেশখালিতে এদিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামের মহিলারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিভিন্ন এলাকায় অবরোধ করে। বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। এলাকার লোকজনের একাংশ বলছে, এর পিছনে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী রয়েছে। আবার অনেকে বলছে, এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। এদিন যে মহিলারা লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ, ভাংচুর চালিয়েছে, তাতে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের ইন্ধন ছিল বলে গ্রামেরই অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে সন্দেশখালির গোলমাল অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এদিনের বিক্ষোভ অবরোধে বেশ কয়েকজনকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তাদের কাউকে কাউকে ওই অবস্থায় মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেও দেখেছেন স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে অনেক নাবালকও ছিল। প্রশ্ন উঠেছে, মুখে গামছা বাঁধা এরা কারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজেপি অশান্তি করার জন্য বহিরাগতদের নিয়ে এসেছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  

দেখে নেব গ্রামবাসীরা কী বলছেন

আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৯)

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল অনুগামীরা গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে। এমনকী মারধরও করে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদেই মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ হাতে  গ্রামের মহিলারা পথে নেমেছিলেন। কিন্তু প্রতিবাদীদের দেখা গিয়েছে মুখে গামছা বেঁধে বিক্ষোভ দেখাছে। ভাঙচুর চালাচ্ছে, এলাকায় আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকেও তাড়া করতে দেখা গিয়েছে।  স্থানীয়দের দাবি, বিজেপিও পরিস্থিতি অশান্ত করতে গ্রামবাসীদের মধ্যে নিজেদের লোক ঢুকিয়েছে। তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করছে। কিন্তু তাদের আসল পরিচয় অধরা।  তা হলে কি তারা পরিচয় আড়াল করতেই এই লুকোচাপা? সেই প্রশ্ন উঠছে। 

শুক্রবার সকাল থেকেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বেড়মজুর। লাঠি, বাঁশ-হাতে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, এলাকায় কোনও অশান্তি নেই।  শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এবং মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেই কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় গোলমাল পাকানো হচ্ছে। বাইরে থেকে লোক এনে অশান্তি করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান,শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে নানা অভিযোগ স্থানীয়দের। তাকে ঘিরেই কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সন্দেশখালির। এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয়দের মধ্যে মিশে গিয়ে বিজেপি গোলমাল পাকাচ্ছে। 

আরও পড়ুন:সন্দেশখালিতে পুলিশি ধরপকড়, প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ

শুক্রবার পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতাকে মারধর করা হয়। তাঁর স্ত্রী, মেয়েকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি ভাংচুর করা হয়। তারপরই পুলিশ অ্যাকশনে নামে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ ঘরে ঘরে ঢুকে পুরুষদের টেনে হিঁচড়ে বার করে নিয়ে যায়। তার প্রতিবাদে মহিলারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধে নামেন। টায়ার জ্বালানো হয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। ওই বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই অনেককে মুখে গামছা বেঁধে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। 

এর আগেই সকালে বেড়মজুরে আসেন বসিরহাটের পুলিশ সুপার, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতিম সরকার প্রমুখ। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার আবেদন করেন তাঁরা। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে নিষেধ করেন। তাতেও অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয় না। বরং বিকেলে পরিস্থিতি ক্রমশই গরম হতে শুরু করে। এক ফাঁকে এলাকায় আসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি কলকাতায় চলে যেতেই গোলমাল বাড়ে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, নিরীহদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এক মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের ভ্যানের বিরুদ্ধে। পুলিশ বিনা কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ ২০ জনকে আটক করে গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে পুলিশের ভ্যান আটকাতে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা।

এদিকে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন ৬ মার্চ। তার আগে পর্যন্ত বিজেপি সন্দেশখালিকে অশান্ত করে রাখতে চায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এটাই বিজেপির গেমপ্ল্যান। তিনি বলেন, মানুষ সব দেখছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। তবে তা সফল হবে না। 

দেখে নেব ভিডিও

RELATED ARTICLES

Most Popular