আমেদাবাদ: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনালের মিল পাচ্ছেন? আমি তো প্রবলভাবে পাচ্ছি। সেই ম্যাচেও ট্রাভিস হেড নামে একজন ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। আজও তাই হল। ১২০ বলে ১৩৭ করলেন তিনি। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মাথাযন্ত্রণার কারণ সেই হেড। এরপর আসা যাক অশ্বিন প্রসঙ্গে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাঁকে খেলানো হয়নি, তার খেসারত দিয়েছিল ভারত। আজও কি খেসারত দিল না?
প্রবলভাবে দিল। সেমিফাইনালে ৯ ওভারে ৭৮ রান দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। উইনিং কম্বিনেশনের নামে তাঁকে খেলানোর কী যুক্তি? ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো করে পিচ দেখেছে। তারা নিশ্চয়ই বুঝেছে পিচে স্পিন আছে, মন্থর। এরকম জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপকে কেন ৩০ ওভার স্পিন খেলানো হবে না?
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান
A spectacular century from Travis Head lifts Australia in the #CWC23 final 👊@mastercardindia Milestones 🏏#INDvAUS pic.twitter.com/CuKh51qrte
— ICC Cricket World Cup (@cricketworldcup) November 19, 2023
অশ্বিনের অভিজ্ঞতা সবথেকে বেশি। তিনি তাঁর রহস্যময় বোলিং অস্ত্রাগার থেকে যা করতে পারতেন তা কি সিরাজ পারতেন? ৩৫ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সিরাজ মাত্র ৩ ওভার বল করেছেন। এদিন নতুন বলে তাঁর জায়গায় শামিকে আনা হল। তার মানে সিরাজের কার্যকারিতা আরও একটু কমে গেল।
প্রথম ১০ ওভারে বল সুইং করছিল। ৪৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। সে সময় মোমেন্টাম ছিল ভারতের দিকে। কিন্তু হেড এবং মার্নাস লাবুশেন ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে দিলেন। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়েছিলেন লাবুশেন। আজ কী ইনিংসটাই খেললেন। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হেড হলেও লাবুশেনের ইনিংস ততটাই দামি। ষষ্ঠবার বিশ্বসেরা হল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের জন্য আরও চার বছরের অপেক্ষা।