উত্তরকাশী: উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকে পড়া শ্রমিকদের এবার মানসিক চাপ মুক্ত হওয়ার ওষুধ (Medicine) পাঠানো শুরু হল। সেই সঙ্গে মাল্টিভিটামিন ও শুকনো ফল দেওয়া হল। টানা ওই পরিবেশে থেকে অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তাই এই উদ্যোগ। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশী জেলায় সিল্কইয়ারা গ্রামে সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের আটকে পড়ার ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। চার ইঞ্চি পাইপে করে তা পাঠানো হচ্ছে। পরিবহণ ও সড়ক সচিব অনুরাগ জৈন রবিবার এই খবর জানিয়েছেন।
ড্রিলিং মেশিন যদি ঠিক থাকে কাজ করে তাহলে আর দুই থেকে আড়াই দিনের মধ্যে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে। রবিবার দুপুরে উত্তরকাশির ধ্বসে আটকে যাওয়া সুড়ঙ্গের মুখে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গাদকরি। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামিকে নিয়ে আজ সুড়ঙ্গে উদ্ধার কাজ পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচানো আমাদের লক্ষ্য। জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গমুখে গাদকরি, সুতোয় ঝুলছে ৪ টি প্রাণ
তোমরা কাজ করছ, নাকি গোড়া থেকেই মিথ্যা বলে চলেছো? ওয়াকিটকিতে এই প্রশ্ন এক শ্রমিকের। আটদিন কাটতে চলেছে, পদে পদে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ায় মনের জোর ভেঙে পড়েছে সুড়ঙ্গে আটক (Uttarkashi Tunnel Collapse) ৪১ কর্মীর। যে অত্যাধুনিক ড্রিলিং মেশিন এনে কাজ চলছিল, খননের ফলে আরও পাথরের টুকরো খসে পড়ছে সুড়ঙ্গে। সে কারণে শনিবারই বন্ধ রাখা হয় ড্রিলিংয়ের কাজ।
প্রায় ৬টি টিম যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালালেও এখনও সুড়ঙ্গপথের আলো দেখা যায়নি। তাই অবশেষে সেনাবাহিনীকে (Indian Army) তলব করা হয়েছে। তারা সুড়ঙ্গের মাথার দিক থেকে গর্ত করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা শুরু করবে। সব থেকে বড় সমস্যা শ্রমিকদের কাছে খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও যেখানে তাঁরা আটকে রয়েছেন, সেখানে পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা না থাকায় জায়গাটি দূষিত হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই।
আরও খবর দেখুন