ভুবনেশ্বর: আন্তনিও হাবাস (Antonio Habas) যে ভয় পাচ্ছিলেন সেটাই কি হল? লিগ-শিল্ড জিতে কি আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিলেন শুভাশিস বসু (Shubhashis Bose), দিমিত্রি পেত্রাতোসরা (Dimitri Petratos)? নাকি স্রেফ রয় কৃষ্ণের (Roy Krishna) কাছে হেরে গেল মোহনবাগান? কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে (Kalinga Stadium) আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ওড়িশা এফসির (Odisha FC) কাছে ২-১ ফলে হারল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্বে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে জিততেই হবে তাদের।
আড়াই মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল কলকাতার ক্লাব। মেত্রাতোসের কর্নার থেকে বিনা বাধায় হেডে করেন মনবীর সিং (Manvir Singh)। এত দ্রুত গোল খেয়ে ঘাবড়ে যায়নি ওড়িশা। উল্টে তারা প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। পরপর চারটে কর্নার আদায় করে এবং চতুর্থ কর্নারেই আসে গোল। ১-১ করেন কার্লোস দেলগাদো। এই গোলের জন্য বাগান গোলকিপার বিশাল কেইথের অনেকটাই দোষ রয়েছে।
আরও পড়ুন: পন্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবেনই, বললেন সৌরভ
VYBK awaits.
Watch #ISL 2023-24 live on @JioCinema, @sports18 & @Vh1India 👉 https://t.co/tE3kO2v77V#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #ISL10 #LetsFootball #ISLonJioCinema pic.twitter.com/SBlcLRvCzf
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) April 23, 2024
ওড়িশার দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে যেমন দোষ হেক্তর ইউস্তের। ওড়িশা গোলকিপার অমরিন্দরের ক্লিয়ার করা বল রয় কৃষ্ণ একাকী টেনে নিয়ে গিয়ে গোল করলেন। কিন্তু ইউস্তে ঠিকমতো রক্ষণ সামলালে ওখান থেকে গোল হয় না। প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে উচ্ছ্বাস করেননি কৃষ্ণ, বরং হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন।
মোহনবাগানের ম্যাচে ফেরার রাস্তা আরও কঠিন করলেন আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku)। কোনও এক অদ্ভুত কারণে জেসন কামিংসের (Jason Cummings) থেকে সাদিকুকে বেশি পছন্দ করেন হাবাস। অথচ গুঁতোগুঁতি ছাড়া মাঠে খুব একটা কিছু করেন না তিনি। না আছে গতি, না জায়গা নেওয়ার দক্ষতা। এদিন দুটো হলুদ কার্ড দেখলেন অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন। তাতে ১০০ শতাংশ দোষ তাঁরই। মোহনবাগানের জন্য সুখবর, ওড়িশার নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় দেলগাদো কার্ড সমস্যায় পরের লেগে খেলবেন না।
দেখুন অন্য খবর: